এই যে বোন,হ্যাঁ আপনাকেই বলছি.....
এই যে বোন,হ্যাঁ আপনাকেই বলছি।যিনি আপনার প্রোফাইলে নিজের একটি চমৎকার,আকর্ষণীয়,মায়াকাড়া ছবি দিয়ে রেখেছেন হ্যাঁ, তাকেই বলছি।
আচ্ছা বোন,আপনাকে একটা প্রশ্ন করি?
কেন আপনি নিজেকে এভাবে সবার সামনে উন্মোচন করছেন?কেন আপনি আপনার হাসি দিয়ে,দৃষ্টি দিয়ে,বিভিন্ন ভঙ্গিমায় পোজ দিয়ে ছবি তুলে সে ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন?
কি কারণে?
মানুষের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য?
নিজে কি পরিমাণ সুন্দরী তা যাচাই করার জন্য?
যুবকরা যেন আপনার জন্য দিওয়ানা হয়ে যায় সে ইচ্ছায়?
না?
তবে কি জন্য?
ফ্রেন্ডদের সাথে জাস্ট শেয়ার করছেন?
কেন আপনি নিজেকে এভাবে সবার সামনে উন্মোচন করছেন?কেন আপনি আপনার হাসি দিয়ে,দৃষ্টি দিয়ে,বিভিন্ন ভঙ্গিমায় পোজ দিয়ে ছবি তুলে সে ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন?
কি কারণে?
মানুষের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য?
নিজে কি পরিমাণ সুন্দরী তা যাচাই করার জন্য?
যুবকরা যেন আপনার জন্য দিওয়ানা হয়ে যায় সে ইচ্ছায়?
না?
তবে কি জন্য?
ফ্রেন্ডদের সাথে জাস্ট শেয়ার করছেন?
বোন,আপনি কি জানেন না ফেসবুকে একবার কিছু দেয়া মানেই ওটা সবার কাছে পৌঁছায়?
যতই আপনি প্রাইভেসি দেন না কেন,কেবল একজন ফ্রেন্ড যদি সেটা দেখে তো আল্টিমেটলি সবাই দেখছে।
যতই আপনি প্রাইভেসি দেন না কেন,কেবল একজন ফ্রেন্ড যদি সেটা দেখে তো আল্টিমেটলি সবাই দেখছে।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে,আপনি বলতে পারেন,"সবাই দেখছে তো কি হয়েছে?আসলে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গিই খারাপ।সবকিছুতেই খারাপ দেখেন।"
বোন,আমরা বলছি মানে এর পিছনে কারণ তো অবশ্যই আছে।বোন, আপনি কখনো জানবেন না আপনার যেসব ছেলেবন্ধুরা আছে,যাদেরকে আপনি ভাইয়ের মত ভাবেন,অবসরে বা আপনার সামনে থাকা অবস্হাতেই তারা আপনাকে নিয়ে কি ভাবে?একলা থাকার সময় তারা আপনাকে কিরূপে কল্পনা করে।যদি জানতেন,সত্যি, আপনার বাঁচতে ইচ্ছা হত না,প্রচন্ড ঘৃণা জন্মাতো তাদের প্রতি।আর যদি আপনার এ ধরণের কোন মনোভাব না জন্মায় বা প্রকাশ্যে আপনাকে নিয়ে বিভিন্ন চটুল মন্তব্য আপনাকে আমোদিত করে তবে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বোন,নারী হিসেবে আপনার মধ্যে যে লজ্জাশীলতা ছিল তাও এই সমাজ উপড়ে ফেলেছে?
বোন,আপনি কি জানেন জাহান্নামের আগুন কেমন?জাহান্নামের আগুন বাদ দিন কখনো রান্না করতে গিয়ে চুলার আগুনের আঁচ লেগেছে?কেমন লেগেছিল বোন?
জাহান্নামের আগুন এর চেয়েও অনেক মারাত্মক।আপনি যে ছবিগুলো শেয়ার করছেন,আপনি যে হারাম সম্পর্কে জড়িত আছেন,বন্ধু,আড্ডা,গান,ফূর্তি এসব নিয়ে যে মজার মধ্যে আছেন,তার পরিণতি কি জানেন?
জাহান্নাম!
জাহান্নামের আগুন এর চেয়েও অনেক মারাত্মক।আপনি যে ছবিগুলো শেয়ার করছেন,আপনি যে হারাম সম্পর্কে জড়িত আছেন,বন্ধু,আড্ডা,গান,ফূর্তি এসব নিয়ে যে মজার মধ্যে আছেন,তার পরিণতি কি জানেন?
জাহান্নাম!
দুই মিনিট সময় চাচ্ছি আপনার কাছে।রান্নাঘরে গিয়ে চুলাটা জ্বালিয়ে নিজের হাতটা একবার আগুনের উপর থেকে ঘুরিয়ে আসুন তো।বাকি লেখা এরপর পড়তে পারবেন..
কেমন লেগেছে বোন?
যদি না গিয়ে থাকেন তো আগে কখনো আগুনের স্পর্শ লাগার অভিজ্ঞতা থাকলে এবার আপনাকে আরেকটা অনুরোধ করতে চাই।আশা করি এটা রাখবেন।
চোখটা বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঐ সময়ের অনুভূতিটা আনার চেষ্টা করুন তো।
এবার ভাবুন এর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি তীব্রতার আগুনে আপনাকে জ্বলতে হবে!
আপনার অভিজ্ঞতার চেয়ে অনেক ভয়ংকর সে আগুন!
আপনার সুন্দর চেহারা ঐ আগুনে পুড়ে কয়লার মত হয়ে যাবে।আপনার সারা শরীর থেকে পুঁজ বের হবে।আর আপনার নিজের এবং অন্যান্যদের শরীর থেকে বের হওয়া এই পুঁজ আর ঘামই হবে আপনার খাবার!
ছিঃ! কি খারাপটাই লাগছে ভাবতে,তাই না?
যদি না গিয়ে থাকেন তো আগে কখনো আগুনের স্পর্শ লাগার অভিজ্ঞতা থাকলে এবার আপনাকে আরেকটা অনুরোধ করতে চাই।আশা করি এটা রাখবেন।
চোখটা বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঐ সময়ের অনুভূতিটা আনার চেষ্টা করুন তো।
এবার ভাবুন এর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি তীব্রতার আগুনে আপনাকে জ্বলতে হবে!
আপনার অভিজ্ঞতার চেয়ে অনেক ভয়ংকর সে আগুন!
আপনার সুন্দর চেহারা ঐ আগুনে পুড়ে কয়লার মত হয়ে যাবে।আপনার সারা শরীর থেকে পুঁজ বের হবে।আর আপনার নিজের এবং অন্যান্যদের শরীর থেকে বের হওয়া এই পুঁজ আর ঘামই হবে আপনার খাবার!
ছিঃ! কি খারাপটাই লাগছে ভাবতে,তাই না?
এবার আসুন আমরা লেখার শুরুতে ফিরে যাই।আপনি এবার বলুন,আপনার ছবি কেন ফেসবুকে দিচ্ছেন,কেন আপনি মুভি দেখছেন,কেন গান শুনছেন,কেন নামাজ পড়ছেন না,কেন হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন?কেন?
কেন?!
কেন?!
আপনি কি এতই সাহসী হয়ে উঠেছেন যে এই আগুনের পরোয়া করছেন না?
আপনি কি নিশ্চিত আল্লাহ্ আজ্জাওয়াজাল আপনার সৃষ্টিকর্তা,তিনি কখনো মিথ্যা বলেন না?
তাহলে সুস্পষ্টভাবে সতর্ক করার পরও,বারবার ভয় দেখানোর পরও কেন আপনি সতর্ক হচ্ছেন না?কেন তওবা করছেন না?কেন আপনার রবের পথে ফিরে আসছেন না?
আপনি কি নিশ্চিত আল্লাহ্ আজ্জাওয়াজাল আপনার সৃষ্টিকর্তা,তিনি কখনো মিথ্যা বলেন না?
তাহলে সুস্পষ্টভাবে সতর্ক করার পরও,বারবার ভয় দেখানোর পরও কেন আপনি সতর্ক হচ্ছেন না?কেন তওবা করছেন না?কেন আপনার রবের পথে ফিরে আসছেন না?
আপনি কি মনে করেছেন ফেসবুকে শেয়ার করা দুই একটা কুরআন,হাদিস,ইসলামিক লেখার পোস্টে লাইক,কমেন্ট করেই আপনার দায়িত্ব শেষ?আপনি কি মনে করেছেন কুরআনের আয়াত,হাদিস এগুলো সব ফাঁকা বুলি?
এগুলো কেবল লাইক পাওয়ার জন্য দেয়া হয়?
এগুলোতে লাইক দিয়েই আপনি পার পেয়ে যাবেন?
এগুলো কেবল লাইক পাওয়ার জন্য দেয়া হয়?
এগুলোতে লাইক দিয়েই আপনি পার পেয়ে যাবেন?
না!কখনোই না!
আপনার রব আপনাকে পাকড়াও করবেন।জেনে বুঝে আল্লাহ্ আজ্জাওয়াজালের কথা পাত্তা না দেয়ার হিসাব তিনি কড়ায় গন্ডায় নিবেন!
আপনার রব আপনাকে পাকড়াও করবেন।জেনে বুঝে আল্লাহ্ আজ্জাওয়াজালের কথা পাত্তা না দেয়ার হিসাব তিনি কড়ায় গন্ডায় নিবেন!
অতএব ফিরে অাসুন,এখনো সময় আছে।আপনার রবের পথে ফিরে আসুন।তওবা করলে আপনার সমস্ত গুনাহ্ রহমানুর রহিম মাফ করে দিবেন ইন শা আল্লাহ্।ফেসবুক থেকে আপনার সমস্ত ছবি এখনি সরিয়ে ফেলুন এখন মানে জাস্ট নাও!
হারাম সম্পর্ককে হালাল করুন অথবা ভেঙ্গে ফেলুন,পর্দার সাথে চলাফেরা করুন,আপনার উপর যা ফরজ করা হয়েছে তা পালন করুন।
প্লিজ বোন,আপনাকে হাতজোড় করছি একবার করেই দেখুন না!
হারাম সম্পর্ককে হালাল করুন অথবা ভেঙ্গে ফেলুন,পর্দার সাথে চলাফেরা করুন,আপনার উপর যা ফরজ করা হয়েছে তা পালন করুন।
প্লিজ বোন,আপনাকে হাতজোড় করছি একবার করেই দেখুন না!
আজকে তো জাহান্নামের ভয় দেখালাম,একদিন নাহয় জান্নাতের বর্ণনা দিব বা আপনি নিজেও জেনে নিতে পারেন।তখন বুঝতে পারবেন হারাম কাজ ছেড়ে দিলে আপনার জন্য কি পুরষ্কারটাই না অপেক্ষা করছে।
দ্বীনের পথে একবার এসে দেখুন।আসার পরেই বুঝতে পারবেন,কি চমৎকার লাইফস্টাইল ছেড়ে কোন আবর্জনাতেই না পড়ে ছিলেন।
-আপনার হিদায়াত কামনায় আপনার এক ভাই।
কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু