হিলফুল ফুজুল (অসহায় ও পথ শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)
হিলফুল ফুজুল
(অসহায় ও পথ শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
আজ আমি আপনাদের সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি যেই বিষয়টা অনেক দিন ধরনেই আমার মনে পালিত হচ্ছে। কিন্তু সেটা আমার পক্ষে একা সম্ভব না, তাই আপনাদের সাহায্য লাগবে।
হিলফুল ফুজুল (অসহায় ও পথ শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)আমি একটি ছোট্ট ইসলামিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাই, যেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাবে।
অসহায় মানুষ ও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, এমন ভাই ও বোনদের প্রয়োজন।
আর কিভাবে কি করতে হবে তা বলা হবে
আামাদের কাজ গুলো হবে.....
অসহায় পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা
তাদের ভিতর দিনের আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং তারা যেনো সুন্দর একটা ভবিষ্য পায় সেই জন্য কাজ করা। তাদেরকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে এনে, সমাজে ওদের স্থান করে দিতে হবে, তাদের যেনো না খেয়ে থাকতে না হয়, অবহেলিত ভাবে জীবন যাপন করতে না হয়, মূর্খ্য হয়ে ভুল পথে চলতে না হয়, ওদের আমরা দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবো ইনশাআল্লাহ আর ওদের থেকেই আমরা বের করবো ভবিষ্যতের জন্য একজন পরিপূর্ণ আলেম/আলেম / হাফেজ। যারা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হবে ।
একবার ভেবে দেখুনতো,,আমরা ফেসবুক নানান মানুষের অসহায় পোস্ট লিখছি,,মানুষের দুঃখে আমিন লিখে এক ফোটা চোখের জল পেলেই নিজের কাজে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। এখানেই কি আমাদের দায়িত্ব শেষ, কি জবাব দিব আমরা আল্লাহর দরবারে,,যখন আল্লাহ আমাদের প্রশ্ন করবে, কি করেছি আমরা এই অসহায় মানুষ গুলোর জন্য, যারা আমাদের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মরছে প্রতিদিন।
ফেসবুকে ওদের কষ্টের কথা না বলে চলুন আমরা ওদের পাশে দাঁড়াই,,যেনো মরে যাওয়ার পর কেও একজন থাকে আমাদের জন্য দোয়া করার,, মরতে তো হবেই আমাদের একদিন, তাই আসেন মরার আগে এমন কিছু কাজ করে যাই.....
যেনো মরার পরেও আমাদের আমল নামায় লেখা বন্ধ না হয়। মরার পরেও যেনো কিছু মানুষের মনে আমরা তাদের আদর্শ হয়ে থাকি,,,যেনে আমাদের অসমাপ্ত কাজ গুলো তারাই সম্পূর্ণ করে। আল্লাহর পথে যারা এক পা অগ্রসর হয়, আল্লাহ তার দিকে দশ পা অগ্রসর হয়।
তাহলে আমাদের চিন্তা কিসের,, সাহায্য তো করবে আল্লাহ আমাদের, চলুন আমরা আল্লাহর কাজে লেগে যাই। যারা যারা কাজ করতে রাজি পেইজের ইনবক্সে নক করুন ।
মহানবী (সা.)-এর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে 'হিলফুল ফুজুল' প্রতিষ্ঠা। 'হিলফুল ফুজুল' অর্থ শান্তিসংঘ। নবুয়তপ্রাপ্তির ১৫ বছর আগে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি আরব সমাজের সব অন্যায়, অবিচার, শোষণ ও নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে তাঁর সমবয়সী কিছু যুবককে নিয়ে এ শান্তিসংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ সংঘের প্রতিটি কর্মসূচি থেকে যুবসমাজের জন্য বহু শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
আসুন দেখেনি ‘হিলফুল ফুজুল’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-
১. মজলুম ও অসহায়দের সাহায্য করা।২. সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।৩. বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মৈত্রী ও প্রীতির সম্পর্ক স্থাপন করা।৪. পথিক ও মুসাফিরের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।৫. কোনো জালেমকে মক্কায় প্রবেশ করতে না দেয়া এবং দুষ্কৃতকারীদের অন্যায় আগ্রাসন প্রতিরোধ করা।
ইতিহাস বলে, তৎকালীন আরব সমাজ থেকে অন্যায়, অপরাধ দূরীকরণে এ সংগঠনের অবদান ছিল অসামান্য।
তবকাতে ইবনে সা'আদের এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (সাঃ) বলেন, "হিলফুল ফুজুলের ন্যায় কল্যাণমূলক সংগঠনের জন্য কেউ যদি আজো ডাক দেয়, তবে আমি হৃষ্টচিত্তে তাতে যোগ দেবো।
আমরা সবাই এখানে কোন স্বার্থ নিয়ে কাজ করবো না সবাই আখিরাতের জন্য কাজ করবো। দুনিয়া হবে আমাদের আল্লাহর রাস্তায় কাজের জায়গা আর এর পারিশ্রমিক পাবো আমরা আখিরাতে ইনশাআল্লাহ।
দয়াকরে পোস্টটি বেশি করে শেয়ার করুণ আর অসহায় মানুষদের নিয়ে কাজ করতে আমাদের সাহায্য করুণ।
কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু