করোনাভাইরাস কী? করোনাভাইরাস: কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে ছড়ায়, কতটা ভয়ংকর

করোনাভাইরাস কী? করোনাভাইরাস: কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে ছড়ায়, কতটা ভয়ংকর

করোনাভাইরাস কী? করোনাভাইরাস: কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে ছড়ায়, কতটা ভয়ংকর

চীনে নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়ছে আতঙ্ক। গত ডিসেম্বর থেকেই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে চীনে। এটি অনেকটা সার্স ভাইরাসের মতো মানুষের মৃত্যু ডেকে আনছে।


ভাইরাসটি নিউমোনিয়া ধরনের অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং তারপর অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় সাড়া দেয় না। ভাইরাসটিতে সংক্রমণের লক্ষণ হচ্ছে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। এছাড়া জ্বর ও মাথাব্যথাও হতে পারে। এসব সমস্যা কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের মানুষ, বয়স্ক ও শিশুদের এই ভাইরাসে নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসনালীর সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।


করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিপদ এ কারণে যে, এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। বিশেরভাগ ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো আপনা আপনি চলে যায়। চিকিৎসকরা ব্যথা বা জ্বরের ওষুধ দিয়ে উপসর্গগুলো থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারেন। গরম পানিতে গোসল গলাব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক হতে পারে।

এ সময় প্রচুর তরল পান করুন, বিশ্রাম নিন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান। রোগের উপসর্গগুলো যদি সাধারণ ঠান্ডার তুলনায় বেশি কিছু বলে মনে হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

নতুন করোনা ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। অন্তত এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। মার্স ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট নতুন করোনা ভাইরাসটির ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। কিন্তু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
আপাতত প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এই ভাইরাস বহন করছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, সবসময় সাবান দিয়ে হাতে ধোয়া; অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে।

সচেতন থাকাটাই মূল বিষয়। হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। পোষা প্রাণি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। অনেক সময় এটি মানুষের জন্যও প্রাণঘাতী রোগের কারণ হতে পারে।


করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে তুমি এতো কিছু করছো, জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুন থেকে বাঁচতে তুমি কী করেছো? এজন্যই তো মহান আল্লাহ মুত্তাকীদের গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন,
''আর যারা আখিরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।''
[সূরাতুল বাক্বারাহঃ ৪]


মনে আছে কি উইঘুর মুসলিমদের উপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের কথা,যেখানে বিশ্বমিডিয়া ছিল নীরব।কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে তারা তাদের কথাগুলো বলেছে,হয়ত সারা পৃথিবীর কেউ তাদের কান্না শোনেননি কিন্তু আল্লাহ ত একজন সবকিছু শোনেছেন।

.
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু কখনো ছেড়ে দেননা।পাই টু পাই সবাইকে বুঝিয়ে দেন তিনি কখনো কারো প্রতি জুলুম করেন না।
.
মজলুমের দোয়ার মাঝে কোন পর্দা থাকে না যা সরাসরি আল্লাহর দরবারে চলে যায়।আল্লাহ মজলুমের দোয়া কবুল করেন তা নবী (সা) এর হাদিস দিয়ে স্বীকৃত "আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সা) বলেন,তিন ব্যক্তির দু‘আ নিঃসন্দেহে কবুল হয়
পিতার দু‘আ,মুসাফিরের দু‘আ,মজলুমের দু‘আ"।(সুনানে আবু দাউদ,হাদিস নং ১৫৩৬)
.
ভাইরাসটি আজ রহস্যময় সবার কাছে আক্রান্ত হচ্ছে আর উল্টে পড়ে মারা যাচ্ছে।জালেমরা আজ কোথায়,শাসকরা আজ কোথায় যারা অত্যাচার করে মনে করেছিলে তোমাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।আল্লাহ কারও প্রতি জুলুম করেন না আল্লাহ সবাইকে তার ন্যায প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন।শুধু চীন নয় সারা বিশ্ব আজ আতংকে আছে,হার মেনেছে তাদের উন্নত প্রযুক্তি।
.
"আল্লাহকে ভয় কর। আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।" (আল-বাকারাহ, ১৯৬)
.
"তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও অবশ্যই বড় কঠিন।" (আল-বুরুজ, ১২)
.
শিক্ষা নেও অন্যান্য জালেমরা যারা অন্যায় ভাবে অত্যাচার করছ এখনো,সিরিয়া,ফিলিস্তিন,কাশ্মীরে।না হয় তোমার নাম ও নিশানা কিছুই খোঁজে পাওয়া যাবে না।

চীনের উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন করার কথা কারো মনে আছে?
.
মনে থাকুক বা নাই থাকুক একটি অন্য বিষয়ে জানাতে চাই,
.

❒ 'করোনা ভাইরাস' কি জানেন?

.

করোনা ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস। ভাইরাসটির অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৭টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

.
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি হয়তো মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতোমধ্যে ‘মিউটেট করছে’, অর্থাৎ গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে। ফলে এটি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সোমবারই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, এ ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে।
.

❒ কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস

.
এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। তবে এর পরিণামে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের দুই শতাংশ মারা গেছেন, হয়তো আরও মৃত্যু হতে পারে। তাছাড়া এমন মৃত্যুও হয়ে থাকতে পারে যা চিহ্নিত হয়নি। তাই এ ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ংকর, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
.
এক দশক আগে সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেটিও ছিল এক ধরনের করোনা ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারের বেশি মানুষ। আর একটি ভাইরাসজনিত রোগ ছিল মিডল ইস্টার্ন রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা মার্স। ২০১২ সালে এতে মৃত্যু হয় ৮৫৮ জনের।
.
চীনে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে এই ভাইরাসটির জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করে মানুষকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
.
সব থেকে ভয়ংকর তথ্যটি দিতে চাই তা হলো, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য কোন চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।
.
শুরুতে বলেছিলাম উইঘুর মুসলিমদের কথা কি আপনাদের মনে আছে কি'না?
.
যারা রব হিসেবে এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে, যারা তাদের রব প্রদত্ত দ্বীনকে সত্য বলে মেনে নেয়; নিজের জীবনকে এক আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করে কাটাতে চায়; যারা তাদের দুঃখ-কষ্ট, অভিযোগ সব জানায় তাদের পালনকর্তার কাছে;
.
সেই এতগুলি নির্যাতিত মানুষকে অত্যাচার করে পার পেয়ে যাবে অত্যাচারীরা এটা ভাবাটা নিতান্তুই বোকাদের কাজ। নিশ্চয়ই মহান রব জালিমদের বিষয়ে উদাসিন নন!
.
"আল্লাহকে ভয় কর। আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।" (আল-বাকারাহ, ১৯৬)
.
"নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।" (আল-বাকারাহ, ২১১)
.
"আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর।" (আলে-ইমরান, ১১)
.
"আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর।" (আল-মায়িদাহ, ২)
.
"আর জেনে রাখ! আল্লাহ শাস্তিদানে খুবই কঠোর।" (আল-আনফাল, ২৫)
.
"আল্লাহ কি মহাশক্তিধর প্রতিশোধ গ্রহনকারী নন?" (আয-যুমার, ৩৭)
.
"তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও অবশ্যই বড় কঠিন।" (আল-বুরুজ, ১২)
.
মজলুমের দু'আ কখনোই বিফলে যায় না। সামান্য একটি 'ভাইরাস', কতটা আতঙ্কিত করে দিয়েছে জালিমদের অন্তরে..
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
.
শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !



-------------------------------------------------------------------------------



করোনাভাইরাসের প্লেগে চায়না


=====
কোন জায়গায় প্লেগ হলে কিভাবে এটাকে কন্ট্রোল করতে হয়? (এখানে প্লেগ মানে যেকোন ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া জনিত এমন কোন রোগ, যার আক্রমনে মহামারী হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। )
তা চায়না হাড়ে হাড়ে বুঝতেছে।
====
উহান নগরীকে তারা সম্পূর্ণ ব্লক (কোয়ারান্টাইন) করে দিয়েছে, কেউ সেই নগরীতে প্রবেশ করতে পারতেছেনা, কেউ বের হতেও পারতেছেনা।
===
কারন হল, করোনা ভাইরাস প্রায় অনেকের (বা সকলেরই) দেহেই চলে গেছে, যদিও সিম্পটম হয়তো আসেনি। তারা যদি উহানের বাহিরে চলে যায়, তারা আরো বেশী লোককে আক্রান্ত করবে। এটা আরো ছড়িয়ে যাবে।

কাজেই উহান থেকে বাহিরে গিয়ে আসলে লাভ নেই, কারন ভাইরাস বডিতে অলরেডী অবস্থান করছে। উহানে যারা আছে, তাদের এখন উহানেই থাকতে হবে। থাকলেই মরতে হবে, এমন গ্যারান্টি না। বরং শরীর এই ভাইরাসকে না চিনলেও কিছুদিনের মধ্যেই সে হয়তো এর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবে। না হলে মৃত্যু হবে। তবে মৃত্যু ঠিক গ্যারান্টেড না। তবে মৃত্যুর যথেষ্ঠ সম্ভাবনা আছে এটা সত্য।

উহান থেকে বের হয়ে আর কোথাও গেলে, কোন লাভ নাই। বাচার সম্ভাবনা বাড়বেও না , কমবেও না। কারন বডিতে অলরেডী করোনা ঢুকে বসে আছে। বরং উহান থেকে বের হয়ে গেলে রোগ অকারনে ছড়াবে।
====

কাজেই প্লেগ যদি কোন শহরে ছড়ানো শুরু করে তাহলে আসলে করণীয় হল:
এক. কেউ ওই শহরে না ঢুকে।
দুই. ওই শহরে অলরেডী যারা আছে, তারা সেখানেই থাকা। আর কোন শহরে পালিয়ে না যাওয়া। পালিয়ে গিয়ে আসলে কোন লাভ নাই।

জেনারেলী এটাই প্লেগকে থামানোর নিয়ম। এরকম প্লেগ মাঝে মাঝেই হয়। পরে আবার থেমেও যায়। কারন মানুষের বডি প্রথমে না পারলেও ( কারন আপনার শ্বেত রক্ত কণিকা এই নতুন ভাইরাসকে চিনেনা, হঠাৎ আক্রমন করায় সে পরাভূত হচ্ছে ), পরে ঠিকই ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়াকে যুদ্ধ করে পরাজিত করতে পারে।

=====

আজ চায়না বিজ্ঞান করে এটা বুঝেছে। সবাই বুঝেছে অবশ্য। কিন্তু খেয়াল করবেন, আগে কিন্তু মানুষ এটা জানতোনা। কারন ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া কিভাবে মিউটেট করে ছড়িয়ে যায়, কিভাবে মানুষকে আক্রান্ত করে, তা কিন্তু মানুষ জানতোনা, পুরো প্রসেসটা সম্পর্কেই মানুষ অন্ধ ছিল। তাইনা?

আগে এরকম একবার প্লেগ হলে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যেতো। এখন কয়েকশ/হাজারের র বেশী মরেনা। কারন এখন মানুষ বিজ্ঞান করে এটা বুঝেছে।

রোমান এমপায়ারের মূল পপুলেশন একবার অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল, এই প্লেগ হয়ে। কারন এটাকে তারা থামাতেই পারেনি।

=====
কথা সেইটা না। কথা হল , এটা মুহাম্মদ , সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানলেন কিভাবে?

সম্ভবত: ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যেখানে একথাটি বলা আছে। রসূল(স) নির্দেেশ দিয়ে রেখেছেন, যে যদি তুমি এরকম প্লেগের মাঝে পড়ে যাও। আর মুভ কইরোনা, সেখানেই থাকো। আর যদি জানো কোথাও প্লেগ হচ্ছে, তাহলে সে জায়গাটা এভয়েড করে চলো, সেখানে যেওনা।

====

কিভাবে সম্ভব বলেন তো এটা? রোমান পারসিয়ান কেউ কিন্তু জানতোনা? আঠারোশো সালের পর মানুষ এটা জানছে।

আগে তো মানুষ বুঝতোনা যে মুহাম্মদ কেন এই কথা বললেন? তারা ভাবতো, এ কেমন কথা, কেন ওই প্লেগের শহরে থেকে আমি মরবো?

কিন্তু এখন দেখেন, সব ক্লিয়ার।

একজন সাহাবী(রা) প্লেগের মধ্যে পড়ে গেলে উমার (রা) তাঁকে কল করেন, চিঠি পাঠিয়ে। সাহাবী(রা) প্রতি উত্তরে পাঠান, যে রসুল(স) তাঁকে প্লেগের মধ্যে পড়ে গেলে আর মুভ করতে মানা করেছেন। তাই তিনি আর মুভ করছেন না। তিনি ওই শহরে অবস্থান করে প্লেগেই মৃত্যুবরণ করেন। কত বড় আত্মত্যাগ দেখেন। শুনলাম মানলাম - তো এটাই। উনি সাহাবী(রা) আবু উবাইদা আমির ইবনুল জাররাহ।

যদি উনি মদীনা চলে আসতেন? প্লেগ মদীনায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরী হতো, রাইট?। আল্লাহ মদীনা কে হেফাজত করেছেন এবং করবেনও।

রোমান এমপায়ার ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু ইসলাম? কিচ্ছু হয়নি। কারন ওয়াহীর জ্ঞান।
====

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সন্দেহ নাই, তাঁর জ্ঞান ছিল ওয়াহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত। একদম সুনিশ্চিত।
====

আল্লাহুম্মা স্বল্লী আলা মুহাম্মদ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ।

হে নবী, ধন্য আমরা, তোমার মত রসূল(স) এর উম্মাত হতে পেরে। ইটস আ প্রিভিলেজ, ইটস আ অনার।

[রেজাউল করিম ভূইয়া ভাই থেকে]








ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাস থেকে যেভাবে বাঁচবেন

------------------------------------------------------------------

নতুন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে ৪৪০ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে বেইজিং। বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।

এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের এক বিবৃতিতে বিশ্বের সব দেশকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

২২ জানুয়ারি বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা আরও দুই হাজার ১৯৭ জনকে শনাক্ত করার কথা নিশ্চিত করে ভাইরাসটি ‘হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে’ বলে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান লি বিন জানিয়েছেন।

চীনের বাইরে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ও তাইওয়ানে আরও চার জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নতুন এ ভাইরাসে তাদেরও একজন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জারি রয়েছে সতর্কতা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলোতে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর।

করোনাভাইরাস কী?


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সি-ফুডের সঙ্গে যুক্ত। করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। উট, বিড়াল এবং বাদুড় সহ অনেক প্রাণীর শরীরেই এই ভাইরাস প্রবেশ করতে সক্ষম। আর এই সব প্রাণী থেকেই ওই বিরল ভাইরাসে মানুষও সংক্রামিত হতে পারে। তবে এই ভাইরাস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

করোনাভাইরাসের লক্ষণ?


ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, জ্বর, এগুলিই ওই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এর জেরে নিউমোনিয়া হতে পারে এবং এই ভাইরাস কিডনিরও ক্ষতি করে।

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা


প্রথমত, এই ভাইরাসটি যেখানে ছড়াচ্ছে সেখানে যাওয়া এড়ানো উচিত। আর আপনি যদি একান্তই এমন জায়গার কাছাকাছি থাকেন তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারেন …

১. আপনার হাত সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। যদি কোনও সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

২. আপনার নাক এবং মুখ ভালভাবে ঢেকে রাখুন।

৩. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁদের ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করবেন না এবং তাঁদের স্পর্শ করবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই সুরক্ষিত থাকবেন।

৪.ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে থেকে আসা জিনিসগুলিকেও পরিষ্কার করে ঘরে আনুন।
৫. নন-ভেজ বিশেষত সামুদ্রিক খাদ্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কেননা এই ভাইরাস সি-ফুড থেকেই ছড়ায়।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসা


এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ভ্যাকসিন তৈরির জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Dr Arifa Akram
Assistant Professor (Virology)
National Institute of Laboratory medicine and referral Center, Dhaka.




--------------------------------------------------------------------------------------------

করোনাভাইরাস যদি হিউমান টু হিউমান ট্রান্সমিশন ঘটাতে পারে, তাহলে দুনিয়ার মানুষের জন্য মহাবিপদ অপেক্ষা করছে। সাধারণত জীব-জানোয়ার থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় এই ভাইরাস, আশংকা করা হচ্ছে এটা মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে, এমনটা হলে কি হবে ভাবতেই গা শিউরে উঠছে।
.
যাদের ইমিউনিটি কম, যেমন বয়স্ক লোকজন, অথবা অন্য যেকোনো রোগব্যাধিতে অলরেডি এফেক্টেড তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার বেশি। ইমিউনিটি বেশি হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপদ ইনশাআল্লাহ। তবে বিড়ি, মদ খাওয়া লোকজনের ক্ষেত্রে আশংকাটা বেশি।
.
শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খাওয়া, জীবাণুমুক্ত পানি পান করা, এক্সারসাইজ করা, টেনশন ফ্রি থাকা, বিড়ি-সিগেরেট সহ বাজে অভ্যাস ত্যাগ ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
.
কোরোনার লাস্ট দুইটা স্ট্রেইন সার্স ও মার্সের ভ্যাকসিন থাকলেও লেটেস্ট স্ট্রেইন নভেল কোরোনার এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা সম্ভব হয়নি। আগের স্ট্রেইনগুলো থেকে সামান্য কয়েকটা আর.এন.এ সিকোয়েন্স এর ডিফারেন্স ব্যতিত তেমন কোনো পার্থক্য নেই তারপরেও নতুন কোরোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে আগের ভ্যাকসিন কাজ করছে না। এর দ্বারা বুঝা যায় মানুষ কত অসহায়, বিজ্ঞান নামক প্রভু কতটা অকার্যকর। আকৃতিগত দিক দিয়ে সবচেয়ে তুচ্ছ সৃষ্টি হলো ভাইরাস, এই তুচ্ছ জিনিসটাই এখন পুরো মানব জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
.
এই মুহূর্তে উচিত বেশি বেশি করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে তাওবা ইস্তেগফার করা, ঈমান থাকা অবস্থায় মৃত্যুর দুআ করতে থাকা।

লেখাঃ সাইফুর রহমান (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)















কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.