নামাজ না পড়েও ‘ভালো’ হওয়া যায় কি?



নামাজ না পড়েও ‘ভালো’ হওয়া যায় কি?




নামাজ পড়ে আমার ভালোত্বের প্রমাণ দিতে হবে না।
মুখে না-বললেও অনেকের মনেই এমন একটা ধারণা আছে। তাদের দাবি, স়ালাাত বা নামাজ পড়লেই মানুষ ভালো হয়ে যায় না। আমার নামাজ পড়ার দরকার নেই। আমি এমনিতেই ভালো।

আমি তাদের দাবির সঙ্গে অর্ধেক একমত।
হ্যাঁ, নামাজ না-পড়েও অনেকে ভালো হতে পারেন। এই ভালো হচ্ছে নৈতিক ভালো। যেমন, বাবা-মা’র সঙ্গে ভালো ব্যবহার, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, মানুষের সঙ্গে লেনাদেনায় সততা ইত্যাদি।
কিন্তু আরেক প্রকার ভালোত্ব আছে। সেটা হচ্ছে ধর্মীয় ভালোত্ব। নামাজ না-পড়ে কেউ নৈতিকভাবে ভালো হতে পারলেও, ধর্মীয়ভাবে ভালো হতে পারেন না। কেন? নৈতিকভাবে ভালোর সংজ্ঞা মানুষ মোটামোটি নিজে দাঁড় করাতে পারলেও, ধর্মীয়ভাবে কীভাবে ভালো হওয়া যায়, সেটা শুধু তিনিই বলতে পারেন, যিনি মানুষকে ধর্ম বা ইসলাম দিয়েছেন।
কিছু মানুষ আছেন, নামাজ না-পড়ে নৈতিকভাবে বেশ ভালো জীবনযাপন করেন। আবার অন্যপ্রান্তে কিছু মানুষ আছেন, স়ালাাত পড়েন, কিন্তু নৈতিকভাবে বেশ খারাপ।
ইসলাম এদুয়ের মাঝে একটা সাম্যাবস্থার নির্দেশ দেয়। সঠিকভাবে যাঁরা ইসলাম পালন করেন, তাঁরা নৈতিকভাবেও ভালো, ধর্মীয়ভাবেও ভালো।
কারা প্রকৃত পূণ্যবান তাদের পরিচিতি দিতে গিয়ে আল্লাহ এমনটাই বলেছেন:
“(নামাজে) মুখ পূর্ব বা পশ্চিমে ফেরানোই আসল ভালোত্ব নয়। প্রকৃত ভালো তারাই, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে, বিশ্বাস করে ফেরেশতাদের, ধর্মগ্রন্থগুলো এবং নাবিদের; সম্পদের প্রতি ভালোবাসা থাকার পরও তা দান করে আত্মীয়-স্বজন, অনাথ-দরিদ্র, পথিক ও সাহায্যপ্রার্থীদের এবং ব্যয় করে দাস মুক্ত করার জন্য। তারা ঠিকমতো স়ালাাত (নামাজ) আদায় করে, যাকাাত দেয়। প্রতিশ্রুতি দিলে পূর্ণ করে। দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন ও বিপদে তারা ধৈর্য ধরে। এরাই প্রকৃত ভালো। আর এরাই তাদের স্রষ্টার ব্যাপারে সদাসচেতন।” (অর্থের ভাবানুবাদ, সূরাহ আল-বাকারাহ, ২:১৭৭)
.

আমার মতে কে কতটা ভালো তার কষ্টিপাথর হচ্ছে এই আয়াতটি। আসুন এই আয়াতের আলোকে নিজেদের যাচাই করে দ্রুতপদে এগিয়ে যাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে।

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.