স্বামী দের এক মুল্যবান অর্জন বা সম্পদ কি জানেন?


স্বামী দের এক মুল্যবান অর্জন বা সম্পদ কি জানেন?
তাকে নিয়ে তার স্ত্রীর গাইরাত







কিন্তু অনেক স্বামী বিষয় টা নিয়ে বিরক্ত হোন। স্ত্রীর অক্সিটোসিন যখন খুব হাই হয়ে যায়, তখন মনের মারাত্মক গভীর থেকে ভালবাসা আসে আর সেই ভালবাসা থেকেই এই গাইরাতের উৎপত্তি।

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন,মন মানসিকতা যতই ফেমিনিস্ট টাইপ হোক না কেন, প্রতিটা মেয়েই পুতুল খেলা বয়স থেকে “বিয়ে” ও একজন “পুরুষ সাথী” কে নিয়ে একটা সিক্রেট দুনিয়া সাজায়। এটা তার জন্মগত একটা বিষয়,যেমন খুব স্বাভাবিক মেয়েরা চুল বড় রাখবে,সাজগোজ করবে ঠিক এই বিষয় টাও খুব স্বাভাবিক সে তার সংসার নিয়ে ভাববে। এবং সেটা খুব কম বয়স থেকে।
সংসার টা তার স্বামী কে নিয়েই। একবার ভেবে দেখেন, এতো এতো ভাবনা,কল্পনা,প্ল্যান যে মানুষ কে ঘিরে,সে মানুষ কে সে এমনিতেই ছেড়ে দিবে?

বউ রা খুব ইনসিকিউর ফিল করে। অকারনেই করে। সে জানে তার স্বামী তাকে ভালবাসে,তাও তার দিনে ২৪ বার কনফার্ম হতে হবে তাকে ভালবাসে কিনা।

সে জানে তার রান্না খুব মজা,তাও এমন ভাব করে প্রতিবার জিগেস করবে যেন রান্না একদম মজা হয়নাই। এই স্বভাব আসলে অভ্যাস। আর এই অভ্যাস হল গাইরাত। তার রান্না ছাড়া অন্য কারো রান্না এই লোকের মজা লাগতেই পারবে না ব্যাস! কেইস ডিসমিস !!

সে জানে এই বেপর্দা অফলাইন বা অনলাইন জগতে না চাইতেও নানান বেগানা মহিলা তার স্বামীর চোখে পরবেই। স্ত্রী জানে,কিন্তু না জানার ভান করে। এই ভনিতা আসলে স্বামীর সাথে না,বরং নিজের সাথেই। এই ভনিতা খুব কষ্টের। এই ভনিতার কষ্ট বুকে জমতে থাকে। তবে কোন দিন বাই চান্স যদি তার চোখের সামনে এমন কিছু পরে,যেমন তার স্বামী কারো দিকে তাকিয়ে আছে, বা কোন বেগানার কথা বলে ফেললো(বেফাঁস) বা কোন মহিলার পোস্টে লাইক কমেন্ট করলো বা ওয়াল ভিজিট করলো ! তাহলে আল্লাহ না করুন ... স্বামীকে সে সময় গুলো “ এর থেকে মরে যাওয়া ভাল” টাইপ ফিলিংস দেয়।

এসব আসলে গাইরাত। জুলুম না।
যত দিন যায় এই জুলুম অর্থাৎ গাইরাত টা বাড়তে থাকে।এর মানে কি জানেন? এরমানে অক্সিটোসিন বাড়তে থাকে,অর্থাৎ ভালবাসা বাড়তে থাকে।
কিন্তু স্বামীদের কাছে বিষয় টা তিক্ত হয়ে যায়, এতো খবরদারি কেন?
কেন তাকে এতো চোখে চোখে রাখা হয়? কেন মোবাইল চেক করা হয়? সন্দেহ করে? বিশ্বাস নাই নাকি?

না সব ঠিকই আছে,খালি অক্সিটোসিনের সুফলে গাইরাত রোগ টা বেড়ে গেছে।
পুরুষ মানুষ গুলো এমনই। একবার একটা কথা ভাল মত বুঝিয়ে বললে ২য় বার আর সেই কথা বলার গুরত্ব টা কমিয়ে দেয়। সে যদি একবার তার বিবি কে বলে “ আমি তোমাকে আমার সবটুকু দিয়ে ভালবাসি ”

আর যদি সে কনফার্ম হয় তার বিবি বিষয় টা বিশ্বাস করেছে তবে সেরেছে,আর এই কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করেন না।
অপর দিকের কাহিনী জানেন কেউ? এইসব কথা বা বিশ্বাস এর এক্সাপিয়ের ডেট স্ত্রীদের কাছে মাত্র ঘন্টা খানেক। আসলে গাইরাত ভুলিয়ে দেয় কথা গুলো কে, আর তাই আবারো শুনতে চায়, আশ্বস্ত হতে চায়।

প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় রিনিউ করা লাগে “ আমি তোমাকেই ভালবাসি”
“ তোমার রান্না এতো মজা যে শুধু খেতেই ইচ্ছে করে ” “ উফ! আমার জীবনে আমি তোমার থেকে বেশি সুন্দরী আর কাউকে দেখিনি ” ( এই কথা বললেও অবশ্য কেয়ামত হতে পারে, “ মানেহ কি? আমি ছাড়া কয়জন কে দেখেছো? )

আসলে কি জানেন? স্বামীর প্রতি গাইরাত যদি না থাকে, সে সংসার আসলে কোন সংসার না। সংসার ঠিকই আছে কিন্তু কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে না কেউ।
স্বামীর প্রতি গাইরাত টা স্ত্রীদের কে অনেক টা এডিক্টেড করে দেয়।
এক কথায় স্বামীর ভালবাসার নেশাখোর। নেশাখোর দের যেমন একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর ডোজ নিতে হয়, না নিলে আউট অফ সেন্স হয়ে যায়, ঠিক তেমনই স্ত্রীদেরও নিতে হয়, আমি তোমাকে ভালবাসি টাইপ কথা বার্তা আর টুক টাক কেয়ারিং টাইপ কথা মানে খোজ খবর এই আর কি।
বিষয় টা পুরুষদের জন্য খুব বিরক্তিকর আর কি। ধুরু বার বার ডেইলি ডেইলি কেন সেইম কথা রিপিট করা লাগবে? কিন্তু তাদের জানাই নাই এই ড্রাগ ছাড়া দিন দিন তার স্ত্রী খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে, মেজাজে ঝগড়াটে হয়ে যাচ্ছে।

এই সামান্য কটা কথা,সামান্য একটু কেয়ার যেটা পুরুষদের কাছে তুচ্ছ সে কটা কথা বা কেয়ারই একটা স্ত্রীর সুস্থ মন ও মস্তিষ্কের খোরাক।
ট্রাস্ট মি, স্বামী কে নিয়ে অনেক ইনসিকিউর ফিল করে। নিজের সাথে ভনিতা করে।গাইরাতের জ্বালায় নিজেই জ্বলতে থাকে। অনেক কষ্টকর কিন্তু। আর স্বামীরা বুঝি একটু এইটুকু জুলুম মানে গাইরাত টা হজম করতে পারবে না?

এই অমুল্য রত্নের আসলে কদর করা উচিৎ। এর মাঝে কত ভালবাসা,শান্তি লুকিয়ে আছে তা আসলে জানা হবে না যতদিন না এই গাইরাত কে বিরক্তিকর হিসেবে না নিয়ে নিয়ামাহ হিসেবে নেওয়া হবে।
সত্যি বলতে সংসার জীবনে হাবিবি আর বিবির যদি মনে মনে গর্ব করার মত কিছু থাকে তবে সেটা হলো একের প্রতি অপরের সো হাই লেভেল গাইরাত






কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.