জীবন - মৃত্যু -জীবন-৪
কিয়ামত-৪
পবিত্র কুরআনে কয়েক পেজ পর পর যেই দিনটার কথা বলা হয়েছে সেই দিনটা হলো কিয়ামত এর দিবস।আল্লাহ ঘন ঘন এই দিনটার কথা সরন করেছেন কারন এইদিবসটি হবে মানুষের জন্য খুব কঠিন।আমরা শেষ জমানায় বাস করছি,কিয়ামত ঘনিয়ে আসছে।নবিজি (সাঃ) কিয়ামতের কিছু লক্ষনের কথা বলে গেছেন।কিয়ামতের লক্ষনগুলো ২ ভাগে ভাগ করা, বড় আর ছোট আলামত।
১৪০০ বছর আগের নবির মরন ছোট আলামতের একটি,তাহলে ভাবুন আমরা কত কাছে কিয়ামতের। ছোট লক্ষনগুলো হলোঃ
১.অভাবি বেদুইনরা উচু অট্টালিকা বানানো প্রতি্যোগিতা করবে,
২.সুদ ব্যাপক হারা ছড়িয়ে পড়বে,কোন ব্যাক্তিই সেইটা থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকবে না।
৩.প্রেম,জিনা ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে।
4.হত্যাকান্ড বেড়ে যাবে,হত্যাকারি জানবে না সে কেন হত্যা করলো,যে নিহত হবে,সেও জানবে না তাকে কেন হত্যা করা হলো
৫.ফুরাত নদি শুকিয়ে যাবে,আর সেইখান থেকে সোনার পাহাড় বেরিয়ে আসবে।
৬.মদ্যপান বেড়ে যাবে,ভুমিকম্প বেড়ে যাবে।
৭.মেয়েরা কাপড় সত্তেও বিবস্ত্র থাকবে,
৮.মিথ্যা সাক্ষের প্রচলন থাকবে,অযোগ্য ব্যাক্তি শাসন করবে।
আমরা আরো ছোট লক্ষন বিভিন্ন হাদিস এ জানতে পাই।
বড় লক্ষন আছে অনেক গুলো তার কিছু হলো,
১.দজ্জাল এর আগমন,মুমিনদের জন্য সব চেয়ে বড় ফিতনা হবে দজ্জাল,সে ৪০ দিন অবস্থান করবে।প্রথম দিন হবে ১ বছর এর সমান,২য় দিন ১ মাসের সমান,৩য় দিন ১ সপ্তাহের সমান,আর বাকি দিন গুলো সাধারন দিনের সমান।এর পর ঈসা(আঃ) আসবেন আর দজ্জাল কে হত্যা করবেন
২.এরপর ইয়াজুজ মাজুজ আসবেন,তারা সংখ্যায় এত হবে যে তাদের দলের সামনের দিকের মানুষেরা কোন সমুদ্রের পানি খেতে লাগলে সব শেষ করে দিবে,আর পিছনের লোকেরা এসে বলবে এইখানে মনে হয় কোন একসময় সমুদ্র ছিলো।এর পর ঈসা(আঃ) এর দোয়ায় তারা শেষ হয়ে যাবে।
৩.মাটির নিচে থেকে দানোবেরা আসবে আর তারা মানুষের মত কথা বলবে।
কিয়ামতে কিছু প্রাকৃতিক লক্ষন দেখা দিবে,
১. সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয় হবে।
২.৩ টা বড় ধরনের ভুমিকম্প হবে।
৩.গাঢ় ধোয়ায় ৪০ দিন ঢেকে যাবে এবং এতে বিশ্বাসি আর অবিশ্বাসি উভয়ই কষ্ট পাবে।
আর কিয়ামত এর শেষ নিদর্শন হবে,ইয়েমেন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়বে পুরো দুনিয়ায়।তখন পুরো দুনিয়ার মানুষ এক জায়গায় একত্রিত হবে।
তারপর আল্লাহর আদেশে ইসরাফিল(আঃ) শিঙায় ফু দিবেন,আর দুনিয়ার সমস্ত কিছু শেষ হয়ে যাবে,পাহাড়গুলো তুলার মতো উড়তে থাকে,তারকা গুলো খসে পড়বে,সমস্ত ফেরেশতাদের হত্যা করা হবে,শুধুমাত্র ৪ জন ফেরেশতা বাদে।তারপর আল্লাহ আজরাইল কে হুকুম দিবে বাকি ৩ জনের জান কবজ করতে,শেষে আজরাইল এর জানও কবজ করা হবে।
তখন আল্লাহ বলবে এখন সব কতৃত্ব কার,তখন তার উত্তর দিয়ার মতো কেও থাকবে না।
শেষে আল্লাহ নিজে নিজেই উত্তর দিবে,আজ সব কতৃত্ব আল্লাহর যিনি মহান এবং অদ্বিতীয়।
এরপর আল্লাহর হুকুমে আবার সব ফেরেশতাদের জীবন দিয়া হবে,
ইসরাফিল (আঃ) আবার ফু দিবেন,এতে সমস্ত দুনিয়া এক সমতল ভুমিতে পরিনত হবে,সেইটাই হলো হাশর এর ময়দান।
এর পর হাসর নিয়ে আমরা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ
কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু