মেরাজ:এক বিস্ময়কর যাত্রা পর্ব -৩ ও শেষ পর্ব

মেরাজ:এক বিস্ময়কর যাত্রা  

পর্ব -৩ ও শেষ পর্ব


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ সুবহানাওয়া তালার সাথে সাক্ষাৎ ,নবীর সাথে সাক্ষাৎ, বিশিষ্ট ফেরেশতাদের সাথে সাক্ষাৎ, ও সিদরাতুল মুনতাহা দর্শনের পাশাপাশি আরো নতুন নতুন অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন ।
যা থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারি।বিস্ময়কর এই যাত্রার এক পর্যায়ে রাসূল সাঃ এর নাকে একটি মনমুগ্ধকর ঘ্রাণ এলো।তিনি জিবরাইল আ:কে জিজ্ঞেস করলেন এটা কিসের ঘ্রাণ???
জিবরাইল আ:বললেন এই চমৎকার সুভাস আসছে ফেরাউন এর মেয়ের চুল আচড়ে দিতো যে মহিলাটি সে ও তার পরিবারের কাছ থেকে।সে ছিল আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা একজন নারী।যার ইসলাম একদিন প্রকাশ পেয়ে যায় ।ফেরাউন তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন ,তুমি সবার সামনে আমাকে তোমার রব হিসাবে স্বীকার করে নাও।নইতো তোমাকে আর তোমার পুরো পরিবারকে জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলা হবে।
বিরাট এক পাত্রে ফুটন্ত পানিতে সেই মহিলার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে একে একে তার চোখের সামনে পুড়িয়ে ফেলা হলো। অবশেষে তার কোলে যে অবুঝ শিশুটি ছিল তাকে ও ছুড়ে ফেলা হলো। এবং তারপর সেই মহিলাকেও এভাবে হত্যা করা হলো।
কোনো অবস্থাতেই সেই মহিলা ফিরাউন কে রব হিসেবে স্বীকার করেননি।এবং মৃত্যুর পর তাদের অবস্থান টি এতটা সম্মানিত ছিল যে, যদিও রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তাদের দেখতে পাননি ।তাদের ঘ্রাণ তার কাছে ঠিকই পৌঁছেছিল। এবং এই ঘটনা থেকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাই।যে মহিলা হইতো তার সমাজের মধ্যে অচেনা একজন ব্যাক্তি ছিল ।ফেরাঊনের হাজারও দাসের মধ্যে একজন।তার এবাদত এর গ্রহণযোগ্যতা এত বেশি ছিল, যে মূসা আ:এর উম্মতের কেউ তাদের ব্যাপারে না জানলেও আল্লাহ সেই উম্মতের ছেয়েও বড় উম্মত কে তার সাহসিকতার মনোবলের গল্প পৌঁছে দিয়েছেন ।
এখন কোটি কোটি মানুষ আল্লাহর সেই বান্দাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তার ঈমান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। আর যে অভাগা ব্যাক্তি টি সেদিন তার সিংহাসনে বসেই আল্লাহর সেই সম্মানিত বান্দাদের জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলেছিল তাকে সবাই সর্বকালের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে মনে রাখবে।
মেরাজ এর সময় রাসূল সাঃ এর উম্মতের উপর নামাজ ফরয করার পর তাকে জান্নাত আর জাহান্নাম দেখানো হয় ।জান্নাতে তিনি মুক্তোর তৈরি তাবু দেখলেন।এবং কস্তুরীর মাটি।এবং জাহান্নামে বিভিন্ন ধরনের মানুষ নানা ভাবে শাস্তি পাচ্ছে।তিনি একদল মানুষকে দেখলেন যাদের নাক উটের মত হয়ে গিয়েছে এবং তাদের গরম কয়লা খাওয়ানো হচ্ছিলো।এবং তা তাদের শরীরের ভেতর দিয়ে গিয়ে পায়ুপথ দিয়ে বের হচ্ছিল।
যখন তিনি জানতে চাইলেন এরা কারা???
জিবরাইল আ:বললেন এরা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছিল।
আরেকদল মানুষ ছিল যাদের নখ ছিল তামার তৈরি।আর তারা নিজেরাই নিজেদের গায়ে সেই ধারালো নখ দিয়ে আঁচড় দিচ্ছিল।এবং তাদের পাপ ছিল তারা গীবত করতো।
এবং আরেকদল মানুষ ছিল যাদের সামনে পবিত্র সুস্বাদু মাংস রাখা ছিল ।এবং আরেকটি পাত্রে পৌঁছে যাওয়া দুর্গন্ধযুক্ত মাংস রাখা ছিল। এবং তারা সে পৌঁছে যাওয়া মাংস টা খাচ্ছিলো।এবং রাসূল সাঃ কে বলা হলো এরা স্ত্রী বা স্বামী থাকা সত্ত্বেও অন্যের সাথে হারাম ভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল ।
আরেক দল লোক ছিল যাদের পেট এত বড় ছিল যে, তারা তাদের নিজেদের পেটের ভারে উঠে দাঁড়াতে পারছিলো না ।এবং তাদের ওপর দিয়ে অজস্র পশু তাদেরকে পিষিয়ে পিষিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। এবং তারা হচ্ছে সেই দলের লোক যারা সুদ থেকে আয় করত।
এবং রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম দাজ্জাল কে ও দেখেছেন। এবং দজ্জালের একটি চোখ নষ্ট ছিল ।এবং বিভিন্ন হাদিসে আমরা দাজ্জাল সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য জানতে পারি ।যা অন্য কোন পর্বে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ ।
অবশেষে,,,,,
রাসূল সাঃ ফিরে এলেন।এসে মসজিদুল আকসা থেকে তার বেঁধে রাখা বাহন বোরাখে চড়ে তিনি মক্কার পথ পাড়ি দিলেন।পথে তিনি তিনটি কাফেলা দেখতে দেখতে পেলেন। এর মধ্যে একটি দল তাদের একটি উট হারিয়ে ফেলেছিল। এবং তিনি তাদেরকে সেই উট কোথায় আছে সেই তথ্য দিলেন।কাফেলার মানুষেরা যদিও তখন রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কে দেখতে পায়নি ,তবে তারা টিকি শুনতে পায়,যে একটি রহস্যময় কণ্ঠ তাদেরকে বলছে তাদের উট কোথায় আছে। এবং তারা টিকি সেই কথা অনুযায়ী তাদের উট খুজে পায়।
শেষমেশ রাসূল সাঃ মসজিদুল হারামে ফিরে আসেন ।এবং সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন ।সকালে তিনি যখন ঘুম থেকে উঠেন সাথেসাথেই তার মনে ভীষন দুঃশ্চিন্তা হতে লাগল ।তিনি জানতেন যে তাকে ইসরা ওয়াল মেরাজ এর ঘটনাগুলো মানুষকে জানিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।
এবং তিনি আশংকা করলেন যে, এরকম বিস্ময়কর ঘটনার কথা শুনলে সেটা হয়তো অনেকের জন্যই মেনে নেওয়া কষ্ট হবে । দুশ্চিন্তার চাপ নিশ্চয়ই তার চেহারাতে প্রকাশ পেয়েছিল ।কারণ সেদিন সকালে তার সামনে দিয়ে স্বয়ং আবু জাহেল যাচ্ছিল ।যে কিনা ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু ছিল।এবং সে রাসূল সাঃ কে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো তোমার কি হয়েছে ??যদিও প্রশ্নটিই আবু জাহলের মত নিকৃষ্ট ব্যক্তি করেছে ।
রাসূল সাঃ সত্য কথাটি বললেন ।আমাকে গতরাতে এখান থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ।আবু জাহেল তাকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ খুঁজলে ও এমন আশ্চর্য কিছু শুনবে তা নিজেও কল্পনা করেনি। সে স্তম্ভিত হয়ে বললো,,,,, তুমি এখন আমাদের মাঝে????
অর্থাৎ তুমি কাল রাতে মসজিদুল আকসা তে গিয়ে আজকে মক্কায় ফেরৎ চলে এসেছে ??মনে রাখা ভাল যে ,তখনকার সময়ে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় যাওয়া কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার ছিল। আবু জাহেল যখন নিশ্চিত হল যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাম কোন রকম ঠাট্টা করছেন না তিনি যত লোককে পারলেন জড়ো করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে বিরাট ভিড় জমে গেল ।এবং আবু জাহেল সবাইকে বলল মোহাম্মদ তোমাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলবে আমরা বলি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আবু জাহেল জানতো রাসূল সাঃ এর এই অবাক করা যাত্রার কথা শুনলে করতে হবে না ।মানুষই তাকে নিয়ে হাসি তামাশা করা আরম্ভ করে দিবে।তাই সে যত বেশি সম্ভব লোক জড়ো করলো।তখন রাসূল তার যাত্রার ইসরার অংশ অর্থাৎ মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় যাওয়ার কথা বলেন ।এবং মেরাজের ঘটনা গুলু তিনি আলাদা করে শুধু মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে পরে বলেন।
তার এক রাতে মক্কা মসজিদুল আকসা তে যাওয়া এবং ফিরে আসার গল্প শুনে সবাই প্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে গেল।এই লোক কি আজগুবি কথা বলছে?? কেউ কেউ মাথায় হাত দিয়ে হতবাক হয়ে গেল?? আবার কেউ কেউ তাকে নিয়ে হাসতে লাগল। এবং সব মিলিয়ে সেখানে এক ধরনের বিশৃংখলা দেখা গেল।
কিন্তু অবশেষে একজনের প্রশ্নে সবাই আবার চুপ হয়ে গেল। সে ব্যক্তিটি আগে বায়তুল মাকদাসে গিয়েছিল।তাই সে বলল তুমি যে বলছো তুমি এক রাতে মক্কা থেকে জেরুজালেম গিয়েছিলে তুমি কি মসজিদুল আকসা বর্ণনা করতে পারবে??
এবার সবাই কৌতুহল নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর দিকে তাকাল। কারন তারা জানে যে তিনি আগে কখনো মসজিদুল আকসায় যান নি।অন্যদিকে রাসূল সাঃ এবার বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন।
কারণ তিনি রাতের বেলায় বোরাখের মত দ্রুত পশুর পিঠে চড়ে বায়তুল মাকদিস গিয়েছেন।এমন একটি নতুন অভিজ্ঞতা হওয়ার সময় স্বাভাবিকভাবে সবকিছু দেখে মনে রাখা সম্ভব ছিল না ।তাই তিনি ভয় পেতে লাগলেন যে, এবার কেউ তার কথায় বিশ্বাস করবে না।
কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ,,,,,,,,
একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটল ,,,,,,,
রাসূল সাঃ দেখতে পেলেন সে মানুষের ভীড়ের পেছন দিয়ে পুরো জেরুজালেম শহরের একটি নকশা উঠে এলো।
যাকে আমরা বর্তমান যুগের 3 ডি হলোগ্রাম এর সাথে তুলনা করতে পারি ।এবং আর কেউ ওদিকে তাকাচ্ছিল না দেখে তিনি বুঝতে পারলেন এই দৃশ্যটি আল্লাহর হুকুমে শুধু তাকেই দেখানো হচ্ছিল
এবং এবার তিনি দেখে দেখে জেরুজালেম শহরের অল গলি হতে শুরু করে মসজিদুল আকসার সব খুঁটিনাটি বিষয়ে বর্ণনা করতে লাগলেন। তিনি প্রতিটি বিষয়ে বর্ণনা করছিলেন এবং যারা আগে জেরুজালেমে গিয়েছিল তারা আশ্বাস দিতে লাগলো যে তিনি সঠিক বলেছেন ।
এবং তারা নিজেরাও থাকে সেই জায়গার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশ্ন করতে লাগল এবং তিনি প্রত্যেকটির জবাব সঠিকভাবে দিতে লাগলেন ।এরপর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম আরো বললেন আমি তোমাদেরকে আরও কিছু নিদর্শন দিচ্ছি এবং তিনি বললেন, যে ফেরার পথে তিনি তিনটি কাফেলা দেখেছিলেন ।এবং সে কাফেলা গুলোতে কারা কারা ছিল সেটাও বললেন ।এবং এর মধ্যে একটি কাফেলার লোকেরা জেরা তাদের উট হারিয়েছিল সেটাও জানালেন।
আবু জাহেল তখন বলল তুমি যে কাফেলা কে মক্কার কাছে দেখেছে,গত রাতে তাদের যেখানে দেখেছো বললে তারা যদি আসলেই সেখানেই থেকে থাকতো তাহলে তাঁরা এতক্ষণে মক্কায় প্রবেশ করে ফেলত ।এবং তখনই খবর এলো ,যে মক্কায় একটি কাফেলা প্রবেশ করছে ।আবু জাহেল হতভম্ব হয়ে সে কাফেলার কাছে ছুটে যায়। এবং গিয়ে দেখে রাসূল সাঃ তাদের ব্যাপারে ঠিক যেমন টা বর্ণনা করেছিলেন তার প্রত্যেকটি কথায় সত্য।
ক্ষুব্ধ আবুল জাহেল ফিরে এসে সবাইকে বলল এটা স্পষ্ট জাদুকরী।মসজিদুল হারাম এ সে জনসমাবেশ থেকে দ্রুত খবর ছড়িয়ে যেতে লাগল।রাসূল সাঃ কি বলেছেন ।
আবু বক্কর রা: তখন অন্য স্থানে ছিলেন।এবং খবরটি তার কাছে পৌঁছায়। একজন কুরাইশি আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলল তুমি কি জানো তোমার বন্ধু কি বলেছে ??সে বলেছে সে এক রাতে মক্কা থেকে বায়তুল মাকদিসে গিয়ে আবার সেই রাতে সেখান থেকে ফিরে এসেছে। এবং আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এমন একটি চমৎকার উত্তর দিলেন যে উত্তর থেকে আমরা আমাদের দ্বীনকে কিভাবে বুঝব সে সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাব।
তিনি বললেন যদি তিনি সত্যিই একথা বলে থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই সত্য।কি মারাত্মক গভীর একটি উত্তর।তার কথাগুলো যেন আমাদের দ্বীনকে বুঝার ব্লুপ্রিন্ট একে দিল। ইসলামের মূল হচ্ছে আল্লাহ কে একমাত্র ইলাহ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। এবং মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কে তার প্রেরিত রাসূল হিসেবে মেনে নেওয়া।
অর্থাৎ আমাদের কাছে যখন কোনো বার্তা বা কোনো আদেশ বা কোনো উপদেশ পৌঁছয় সেটা যদি সত্যিই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর কাছ থেকে আসে তাহলে আমরা সেটা নির্দ্বিধায় মেনে নিব। এমনকি সেটা যদি আমাদের বুদ্ধি এবং জ্ঞানের বিপরীতে যায় তবে ও।
যদি কেউ এসে বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন এই এই কাজ করতে। আমরা আমাদের সকল বুদ্ধি এবং জ্ঞান কাজে লাগাবো এটা বের করতে যে রাসূল সাঃ আসলেই এমনটা বলেছিলেন কিনা??
তিনি এই বিষয়ে আর কি কি বলেছেন। তিনি কোন কোন পরিস্থিতিতে কোন কোন মানুষকে এমনটা করতে বলেছেন ।এবং রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম আসলেই কোন কথা কোন প্রেক্ষাপটে বলেছেন সেটা নির্ণয় করার প্রচেষ্টা করতে গিয়ে বিশ্ব ইতিহাসের এক নিখুঁত বিস্তীর্ণ শাস্ত্র গড়ে ওঠে যার নাম হাদিস শাস্ত্র ।
এজন্য একজন নাস্তিক ব্যক্তির কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের ঘোড়ায় চড়ে বায়তুল মাকদিস এ যাওয়া আর হাতি তে চড়ে বায়তুল মাকদিস এ যাওয়ার ঘটনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।কিন্তু একজনের মোমিনের কাছে এই দুটোর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
কারণ একটি বর্ণনার জন্য রয়েছে অনেক অনেক প্রমান। নিখুঁত সব দলিল। আর অন্যটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন ।আবু বক্কর উত্তর শুনে লোকটি বলল তুমি কি সত্যিই তাকে বিশ্বাস করো ??
তখন আবু বক্কর রা: বললো আমি এর চাইতেও বিস্ময়কর কথা বিশ্বাস করি। উনি বলেন সাত আসমানের ওপর থেকে তার কাছে আল্লাহর তরফ থেকে বার্তা আসে। অর্থাৎ তিনি বলছেন আমি সেই কথা বিশ্বাস করলে তার এক রাতে মক্কা থেকে জেরুজালেম যাওয়ার ঘটনা বিশ্বাস করতে ই পারি ।এবং এই ঘটনার পর থেকে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আস সিদ্দিক উপাধি দেয়া হয় যার অর্থ সত্যবাদী।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর জীবনেরই বিস্ময়কর অধ্যায় থেকে অগণিত শিক্ষা নেওয়ার আছে।এর মধ্য থেকে আমরা বিশেষভাবে আমাদের ঈমান নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখতে পারি ।আমরা কি সত্যিই রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম কে আল্লাহর প্রেরিত নবী হিসেবে মেনে নিয়েছি?? তাকে নবী হিসেবে মেনে নেয়ার অর্থ আসলে কি??
এমন বিস্ময়কর কথা রসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বর্ণনা করলেই তা গ্রহণযোগ্য ।কিন্তু তারপরেও যদি অন্য কোন ব্যক্তি এমন কথা বলে আমরা কি তা গ্রহণ করব?? না প্রত্যাখ্যান করব ??
আমরা কি তা ভেবে দেখেছি?? ইসলামের এই বিষয়গুলো অনেক গভীর।আর তাই সময় নিয়ে বিশ্বস্ত আলেমদের সান্নিধ্যে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
অনলাইনে পাঁচ দশ মিনিটের এই ভিডিওগুলো তৈরীর উদ্দেশ্য হলো সবার কাছে চিন্তার কিছু খোরাক পৌঁছে দেয়া।এর পর আপনি আপনার জীবনকে কিভাবে পরিবর্তন করবেন ,,কোথ থেকে শিক্ষা নিবেন এবং এর পেছনে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন সে সিদ্ধান্তগুলো কিন্তু আপনার ই।🌺🌺🌺

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.