জীবন - মৃত্যু -জীবন-৬

সাফায়াত-৬


বিচার দিবসে সবাই দাঁড়িয়ে আছে কারন আল্লাহ অনেক রেগে আছে,তিনি কারোর সাথে কথা বলছেন না,কিন্তু সবাই চাইছে যে বিচার দিবস শুরু করা হোক।
তাই সবাই মিলে প্রথম মানুষ আদম(আঃ) এর কাছে যাই আর বলে আল্লাহর কাছে অনুরোধ করতে বিচার কাজ শুরু করার জন্য,
তার সব সন্তানদের এই আকুল আবেদন শুনার পরেও তিনি রাজি ছিলেন না,কারন তিনি তার অনেক দিন আগের ভুলের কথা সরন করছিলেন,তিনি তো নিজের জন্যেই চিন্তায় আছে। তিনি নূহ(আঃ) এর কাছে যেতে বললেন।
এর পর নূহ(আঃ) ও সবার অনুরোধ রাখতে পারলেন না,তিনি ইব্রাহিম (আঃ) এর কাছে যেতে বললেন।
এই ভাবে দুনিয়ার সব মানুষ,জীন একের পর এক নবির কাছে যাবে,
তারা মুসা,ঈসা,দাউদ,ইউসুফ (আঃ) ইত্যাদি সব নবির কাছেই যাবে কিন্তু সবাই ফিরিয়ে দিবেন কারন সবার ই কিছু না কিছু ভুল ছিল।।

কিন্তু এরপর সবাই ছুটে যাবে আল্লাহর সব থেকে প্রিয় বান্দা,যিনি জীবনে একটি ও খারাপ কাজ করে নি,যার প্রসংসা স্বয়ং আল্লাহ করে বলেছেন,"নিশ্চয়ই আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারি"",যিনি সারাজীবন শুধু আপনার আমার তার উম্মত এর কথা চিন্তা করছেন,সব নবি যখন বলবেন ইয়া নাফসি,ইয়া নাফসি আর তিনি বলবেন ইয়া উম্মাতি,ইয়া উম্মাতি।
যখন সবাই আমাদের প্রিয় নবিকে সুপারিশ করতে বলবে তখন তিনি বলবেন এই কাজ আমাকেই দিয়া হয়েছে।তখন তিনি আল্লাহর কাছে সিজদাই পড়ে যাবে,তিনি এত সুন্দর ভাবে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকবে তখন আল্লাহ তাকে তুলে বলবেন,
"হে মুহাম্মাদ,আমার হাবিব,তুমি উঠো,তুমি উঠো,আজ তুমি যা চাইবে তোমাকে তাই এ দিয়া হবে,বলো তোমার কি কি চাই"" (বুখারি-৪৭১২)
সুবহানাল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি আদম সন্তানদের সরদার। কেয়ামতের ময়দানে আমিই সর্বপ্রথম সুপারিশ করার অনুমতিপ্রাপ্ত হবো এবং আমার সুপারিশই গৃহীত হবে। (মুসলিম)

তখন তিনি বিচার দিবস শুরু করার জন্য অনুরোধ করবেন,তখন আল্লাহ বিচারকাজ শুরু করবেন,তার আরশ নিয়ে আসা হবে,আর আমাদের হাবিব (সাঃ) থাকবে মাকামা মাহমুদে।
তিনি মুলত পাপীদের ক্ষমা করার জন্য,ভালো মানুষদের আরো মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়ার জন্য সাফায়াত করবেন।

অন্য হাদিস এ আছে, নবী (সা.) বলেন, ‘কেয়ামত দিবসে সাওম ও কোরআন উভয়ই আল্লাহর কাছে কোরআন তেলাওয়াতকারী ও সাওম পালনকারীর জন্য সুপারিশ করবে। (আল মুসনাদ)।
নবী (সা.) বলেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ (অণু পরিমাণ) ঈমান আছে তাকেও শাফায়াত করে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে দাখিল করানো হবে। (মুসলিম)
,রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন-পরকালে নবীদের মধ্যে আঁমার অনুসারীর সংখ্যা হবে সর্বাপেক্ষা বেশি। আর আঁমিই সর্বপ্রথম বেহেশতের দরজা খোলবো।
[মুসলিম,মেশকাত, পৃষ্ঠা নং-৫১১]
আমরা এমন নবির উম্মাত,,যে নবির উম্মাত হওয়ার জন্য নবিরাও আফশোস করেছেন,আমাদের কি কৃতঙ্গতা প্রকাস করা উচিত নয়,আমাদের হাবিব(সাঃ) এর সুন্নাত পালন করা উচিত নয়??তিনি তো সারাজিবন আমাদের ভালোবেসে গেছেন,আমাদেরও কি তাকে ভালোবাসা উচিত নয়??তাহলেই আমরা সেই মহান ব্যাক্তির সাফায়াত লাভ কর‍তে পারবো,তিনি যদি কোন ব্যাক্তির জন্য সাফায়াত করে তার কি আর কোন ভয় থাকতে পারে?
হে আল্লাহ আমরা সবাই যেন আপনার হাবিব(সাঃ) এর সাফায়াত লাভ করতে পারি,আমিন।।

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.