বারজাখের জীবন (পর্ব- ৫)

বারজাখের জীবন (পর্ব- ৫)


রুহ এবং নফস কি একই??
সত্যি বলতে এটা নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা আছে। অনেক একাডেমীক অনেকভাবেই বলেছেন তবে আসল পার্থক্য আল্লাহই ভালো জানেন।

কোরআনে আল্লাহ বিভিন্ন বিষয়ে রুহ শব্দটি ব্যাবহার করেছেন। যেমন,
★জীবরীল আঃ এর জন্য রুহ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লাহ তাকে বলেছেন " রুহুল কুদুস "
★আল্লাহ কোরআনকেও রুহ বলেছেন।
★মারিয়াম আঃ এর গর্ভে যা ফুকে দেয়া হয়েছিলো, তাকে আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন রুহ হিসেবে।
★সাহাবাদের যুদ্ধের সময় রুহ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে এমনটা আল্লাহ বলেছেন।
★আমাদের শরীরে রয়েছে রুহ।

সুতরাং রুহ এমনকিছু যা কোন বস্তুু বা কিছুতে জীবন দেয়। যেমন, কোরআন হিদায়াতের উৎস, তা মানুষকে নতুন জীবন দেয় বা মারিয়াম আঃ এর গর্ভে এমন কিছু ফুকে দেয়া হয়েছিলো যা নতুন জীবনের সৃষ্টি করেছিলো, এমনটাই।
অপরদিকে নফস শব্দটি অনেকবেশী এসেছে রুহ থেকে। আলেমদের মতে নফস তিন ধরনের।
১. নফসে মুতমাইন্না
২.নফসে আম্মারা
৩. নফসে লাওয়্যামা

রসূল সাঃ একবার সাহাবীদের বললেন, "তোমরা কি দেখোনি যখন কেউ মারা যায় তার চোখ থাকে উপর দিকে?? তারা বললো, কেন?? রসূল সাঃ বললেন, যখন নফস শরীর থেকে বেরিয়ে যায় রুহ সেদিকে তাকিয়ে থাকে।"(ইবনে মাজাহ)
জাগ্রত অবস্থায় যখন কারো মৃত্যু হয় সে নিজের নফসকে বের হয়ে যেতে দেখে। আল্লাহ কুরআনে বলেন, "তিনি নফসকে নিয়ে নেন, মৃত্যুর সময়।"
সুতরাং সাধারনভাবে বললে, রুহ এমন একটি স্পিরিচুয়াল এনটিটি যা শরীর ছাড়াই অবস্থান করতে পারে। এবং নফস বলা হয় শরীর, বুদ্ধি এবং রুহ এর মিলিত রূপকে।
বারজাখ বা কবর আখিরাতের প্রথম ষ্টেশন। মানুষকে কবরস্থ করার পর ফেরেশতারা তার রুহকে ইল্লিয়্যিনে নিয়ে যায়। তারপর নেককার বা বদকার হিসেবে সেই রুহ এর সাথে ব্যাবহার করা হয়। তারপর তাকে আবার কবরে ফিরিয়ে আনা হয়। মজার বিষয় হলো, আমরা জানি বদকার হলে কিয়ামাত এর আগ পর্যন্ত আজাব হয় আর নেককার হলে জান্নাতি পরিবেশ দেয়া হয়। তো কবরে তো শরীর পচে গলে যায়, তাহলে এগুলো নিশ্চয়ই রুহের উপর হয়। এখন সেখানে কিভাবে রুহ থাকে বা আজাব হয়, তার জ্ঞান তো শুধুমাত্র আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন এর কাছেই রয়েছে।
(ইয়াসীর ক্বাদীর লেকচার অবলম্বনে অনুবাদকৃত)
Farzana_haque

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.