ফেতনার জামানায় ১০ টি আমল

ফেতনার জামানায় ১০ টি আমল যা মেনে আমল করলে ফেতনা থেকে বাচা যাবে, ইনশাল্লাহ

ফেতনার জামানায় ১০ টি আমল যা মেনে আমল করলে ফেতনা থেকে বাচা যাবে, ইনশাল্লাহ



১) অধিক হারে চুপ থাকা


যে লোক যাবতীয় ফেতনা থেকে
এতো পরিণাম চুপ থাকে, যার কারণে
কোন ফেতনা তাকে আকৃষ্ট করতে
পারেনি
[ আল ফিতান : ৭৩৫ ]
--------

২) অধিক হারে দুআ করা


হুজাইফা রা: বলেছেন:
মানুষের উপর এমন একটা যুগ আসবে
যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া
যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের
দোয়ার মত।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা -
৩৬৪৪৭ ]
________

৩) ফেতনার দিকে দৃষ্টি বা উকি না দেওয়া এবং ফেতনার দিকে না যাওয়া


রাসূল ( সা:) বলেন:
যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোন আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭০৮১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
---------

৪) ফেতনার সময় নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বের হওয়া


রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, যা বসে থাকা ব্যাক্ত দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তি তখন চলমান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর চলমান ব্যক্তি তখন দ্রুতগামী ব্যক্তি হতে ভাল থাকবে।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭১৩৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
-----------

৫) ফেতনার সময় সৎকাজ আকড়ে ধরা এবং অসৎকাজ পরিহার করা এবং কি আল্লাহ ভিরু মুত্তাকীদের সাথে চলাফেরা করা, অন্য পাপিচারিদের সাথে সংগ ত্যাগ করা


রাসূল ( সা:) বলেন :
যখন ফিতনা তিব্র আকার ধারণ করবে তখন তোমরা সৎকাজকে মজবুত ভাবে আকড়ে ধরবে
এবং অসৎকাজ হতে বিরত থাকবে।
তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে তাদের প্রতি মনিবেশ করবে এবং সর্বধারণকে এরিয়ে চলবে
[ আল ফিতান : ৭২১ ]
-----------

৬) ফেতনার জামানায় জান্নাতি হওয়ার বিশেষ তিনটা উপায়


উকবা ইবনু আমির (রাঃ) বলেন :
একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) -এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, নাজাতের উপায় কি?
তিনি বললেন, ‘নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখ, নিজের ঘরে পড়ে থাক এবং নিজের পাপের জন্য রোদন কর’
আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৮৩৭; বাংলা মিশকাত হা/৪৬২৬
----------

৭) সব চেয়ে বড় ফেতনা বর্তমান সময়ে আর সেটা হচ্ছে নারি, তা থেকে নিজেক মুক্ত রাখা


রাসূল ( সা:) বলেন :
কোন নারীর উপর তোমার দৃষ্টি পড়লে
তার প্রতি) বারবার দৃষ্টিপাত করো না। বরং
নজর অতিসত্তর ফিরিয়ে নিও, কারণ, তোমার
জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়।
[ আহমদঃ ১৩৬৯ ]
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পুরুষের জন্য নারীজাতি অপেহ্মা অধিক ক্ষতিকর কোন ফিত্‌না আমি রেখে গেলাম না।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০৯৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
-------

৮) এই উম্মতের একটি ফেতনা হচ্ছে ধন-সম্পদ এর ফেতনা, যা আল্লাহ আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে, এটা পরিহার করা, যাতে আল্লাহ ইবাদত করা থেকে দূরে না রাখে


কা’ব ইবনু ইয়ায (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : প্রত্যেক উম্মাতের জন্য কোন না কোন ফিত্‌না রয়েছে। আর আমার উম্মাতের ফিত্‌না হলো ধন-সম্পদ।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৩৬
------------

৯) ফেতনার জামানায় গ্রুত্বপূর্ন একটা আমল সেটা হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহ আকড়ে ধরা, যা মানুষের মধ্যে না থাকলে ফেতনা গ্রাস করে ফেলবে


রাসূলুল্লাহ ( সা:) বলেন :-
নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি- তোমরা যদি উহা আঁকড়ে ধরে থাক তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাত।”
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিস নং ৪০
-------------

১০) ফেতনার জামানায় ফেতনা সমর্পকে জ্ঞান অর্জন করা


ফিতনা গরুর ন্যায়। তাতে বহু মানুষ ধ্বংশ হবে। তবে যারা পূর্বেই এ সম্পর্কে অবগতি লাভ করবে তারা ধ্বংশ হবে না।
[ আল ফিতান : ৫ ]
----------
আপনাদের বিশেষ করে জানানো যাচ্ছে পোস্টি ব্যাপক হারে কপি করে প্রোফালে, গ্রুপে, পেজে প্রচার করে দিন
.
শেয়ার না করে কপি করে পোস্ট করুন তাহলে বেশি প্রচার হবে ইনশাল্লাহ, যারা কপি করতে পাড়বেন না তারা শেয়ার করবেন
বর্তমান সময়ে এই গ্রুত্বপূর্ন আমল গুলা মানুষকে জানানো বিশেষ প্রোয়জন


রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি
মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য
ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ
পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/
২৬৭৪,৬৮০৪]







কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.