বারজাখের জীবন (পর্ব -৩)
বারজাখের জীবন (পর্ব -৩)
কুরআন এবং সুন্নাহ অনুসারে আদম আঃ এর রুহ আল্লাহ সরাসরি নিজে ফুকে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, সেই #রুহ আমাদের ভিতর কি করে আসছে??? সূরা আরাফ এর ১৭২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব আদম-সন্তানের পিঠ থেকে তার বংশধরকে বের করেন। " (সূরা আরাফ)
অর্থ্যাৎ আদম আলাইহিস সালামের পৃষ্ঠদেশ ঘর্ষনের মাধ্যমে কিয়ামাত পর্যন্ত আগত সকল মানব সন্তানের রুহকে একসাথে বের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুসলিম শরীফ এবং মুসতাদারাকে হাকেমের কয়েকটি হাদিসের সারসংক্ষেপ এরকম,' আদম আঃ পৃথিবীতে আসলেন এবং আরাফার ময়দানে তার তাওবা কবুল হলো(তাফসীর অনুসারে)। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা আদম আঃ এর পৃষ্ঠদেশ ঘর্ষণ করলেন এবং কিয়ামাত পর্যন্ত সকল মানব রুহকে নির্গত করলেন।' এটাই আমাদের মানব রুহের জন্মের ইতিহাস। সুতরাং আমাদের রুহের জন্মস্থান হচ্ছে আরাফাতের ময়দান এবং এই সকল রুহ কোথায় বা কিভাবে রাখা আছে এ বিষয়ে কোন ধারনা আমাদের দেয়া হয় নি।
অতঃপর হাদিস অনুসারে রুহ সৃষ্টির পর আল্লাহ সরাসরি সকল রুহের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে সূরা আরাফ এর ১৭২ নম্বর আয়াতটি পুরোটা দেখলে আমরা বুঝতে পারবো। এ আয়াতে আল্লাহ বলেন,"আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব আদম-সন্তানের পিঠ থেকে তার বংশধরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বদ্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘আমি কি তোমাদের রব নই ?’ তারা বলেছিল, ‘ হ্যাঁ অবশ্যই, আমরা সাক্ষী রইলাম।’ এটা এ জন্যে যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন না বল, ‘আমারা তো এ বিষয়ে গাফেল ছিলাম। "
(সূরা আরাফ- ১৭২)
এই আয়াতকে গভীরভাবে খেয়াল করলে আমরা বুঝবো, এখানে কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন এর প্রথম কথাতেই আমাদের শেখানোর দরকারই পড়েনি যে, উনি আমাদের রব্ব। বরঞ্চ শুধুমাত্র স্বীকারোক্তি নিয়েছেন। কারন আমাদের রব্ব, আমাদের মালিক যে আল্লাহ এটা আমাদের শেখানোর কোন প্রয়োজন নেই। এটা আল্লাহ আমাদের ফিতরাতে দিয়ে দিয়েছেন, আমাদের ভিতরে সেট করে দিয়েছেন৷ এজন্যই বলা হয় প্রতিটা মানুষ ইসলামের ফিতরাতের উপরই জন্মগ্রহন করে। পরবর্তীতে তার বাবা- মা তাকে পরিবর্তন করে ফেলেন।
(ইয়াসীর ক্বাদির লেকচার অবলম্বনে অনুবাদকৃত )
Farzana_haque
কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু