শ্রেষ্ঠ মানুষেরা -হযরত আদম (আ:) পর্ব-২

শ্রেষ্ঠ মানুষেরা
হযরত আদম (আ:)


ইবলিশ যখন বছরের-পর-বছর আল্লাহর ইবাদত করার পর ইবাদত কারিদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত অবস্থানে পৌঁছে যায় ,যখন সে আল্লাহর এমন নৈকট্য লাভ করার সুযোগ পায়, যা শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ফেরেশতারাই পেয়েছিলো তখন আল্লাহ তাকে আরো একটি বিশেষ ইবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তাকে বলেছিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে ।কিন্তু সে আল্লাহর আদেশ অমান্য করল ।আল্লাহর আদেশ অমান্য করার মাধ্যমে তার এত বছরের ইবাদতের একটি দিক প্রকাশ পেল ।তার এত বছরের ইবাদত জোড়েই ছিল আরো মর্যাদা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ।নিজের মাহাত্ম্য প্রমাণের আকাঙ্ক্ষা ।আল্লাহ যেহেতু লাতিফুল হবির তিনি প্রতিটি অন্তরের সবচেয়ে গোপন বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত ।তাই তিনি সবসময় জানতেন ইবলিশের ইবাদতের গভীরে কেমন উদেশ্যে লুকিয়ে রয়েছে ।

কিন্তু তিনি তো আরহামুর রাহীমিন তাই তিনি ইবলীসকে ধীরে ধীরে তার কাছে টেনে নিয়েছেন ।তাকে শ্রেষ্ঠতর সঙ্গীদের সাতে তার রবের ইবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছেন ।কিন্তু তার অন্তরের অহংবোধ এত প্রবল ছিল, যে সৃষ্টির সেরা ইবাদতকারী দের সঙ্গ পেয়ে ও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি ।

অতঃপর আল্লাহ তার সামনে এমন এক পরীক্ষা দিলেন যা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল তার অন্তরে আসলে কি ছিল ?যে সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে ভালবেসেছে ।একনিষ্ঠভাবে তারই নৈকট্য লাভ করার জন্য ইবাদত করেছে ।সে আল্লাহর হুকুম মানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকবে ।আল্লাহ তাকে যে হুকুমই দেন না কেনো। ইবলিশ যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করল তখন সবার কাছেই এ ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে গেল ।তার অন্তরে আল্লাহর আনুগত্যের চেয়ে নিজের পদমর্যাদা প্রাধান্য পেয়েছে ।

এবং সে এতটাই হতভাগা,যে সেই যে পদমর্যাদার কামনায় নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিলো সেই পদমর্যাদা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য করলে এমনি তার হয়ে যেত। এবং হাজার হাজার বছর পর আজও কত মানুষ সে একি ধোকার মধ্যে পড়ে রয়েছে।

দ্বিতীয়ত সামান্য মাটির তৈরি আদম আলাইহিস সালাম কে আল্লাহর নূরের তৈরী ফেরেস্তা ও আগুনের তৈরী জ্বিন দের সিজদা করতে বললেন কেন ??এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে জ্ঞানের মর্যাদা। আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার সাথে সাথেই তাকে সিজদা করার হুকুম দেন নি।বরং তিনি প্রথমে তাকে শিক্ষা দিয়েছেন। এবং আদম আলাইহিস সালাম সেই শিক্ষা গ্রহণ করার পর ই বাকি দের কাছ থেকে সিজদা করার মত অবস্থানে পৌঁছেছেন।

আল্লাহর রহমতে আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতে বাস করতে লাগলেন। এবং ইবলিশ নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে ওত পেতে বসে থাকলেও আদম আলাইহিস সালামকে ও ফাঁদে ফেলার জন্য। অন্যদিকে আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতের অগণিত নেয়ামত উপভোগ করতে লাগলেন ।কিন্তু বছরের পর বছর পার হয়ে যাওয়ার পর তিনি তার অন্তরে এক নতুন ধরনের অনুভূতি আবিষ্কার করলেন। এই অনুভূতি ছিল একাকীত্ব বোধ ।তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্য করলেন আল্লাহর জগতে এতো এতো ফেরেশতা ,এত এত জান্নাতি ,পশুপাখি। কিন্তু তার মত আর কেউ নেই ।অতঃপর আল্লাহ তার জন্য একজন জীবনসঙ্গী সৃষ্টি করলেন। এবং আমাদের মা হাওয়া আলাইহিস সালাম এর জন্ম হলো ।এবং তাকে পাওয়ার সাথে সাথে আদম আলাইহিস সালামের নিঃসঙ্গতা দূর হয়ে গেল ।

এবং আল্লাহ বললেনঃআদম আলাইহিস সালামইসলাম এবং হাওয়া আলাইহিস সালাম এর জন্য আল্লাহর জন্য আল্লাহ পুরো জান্নাত উন্মুক্ত করে দিলেন। এবং শুধুমাত্র একটি গাছের ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দিলেন এবং বললেন এই গাছের কাছে ও এসো না।এই আদেশকে ঘিরেই ইবলিশ তার ফাঁদ পাততে লাগলো। সে ধাপে ধাপে আদম আলাইহিস সালামকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে লাগল ।এবং অবশেষে সে আল্লাহর কসম খেয়ে বলল সে তাদের সদুপদেশ দিচ্ছে। এবং তারা যদি সেই গাছের ফল খায় তারা অমর হয়ে যাবেন। ফেরেশতাদের মত হয়ে যাবেন ।

আদম আলাইহিস সালাম এবং মা হাওয়া এতো পবিত্র পরিবেশে জীবন যাপন করেছিলেন যে ,তারা কখনো মিথ্যা কথা সম্মুখীন হননি। আল্লাহর কসম খেয়ে মিথ্যা কথা বলা তো অনেক দূরের কথা ।তারা ইবলিশের ফাঁদে পা দিলেন। এবং সেই নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে ফেললেন। এবং সাথে সাথে তারা তাদের নগ্নতার উপলব্ধি করলেন। এবং যে আলো দ্বারা তাদের নগ্নতার সুরক্ষিত ছিল সেই আলো নিভে গেল। এবং তারা গাছপালা দিয়ে নিজেদেরকে ঢেকে নিলেন। এবং আদম আলাইহিস সালাম এবং মা হাওয়া সাথে সাথে তাদের ভুল বুঝতে পারলেন ।এবং যদি ও ইবলিশ তাদেরকে ফাসিয়েছিল তারা বুঝতে পারলেন যখন আল্লাহর পরিষ্কার আদেশ করেছিলেন তাদেরকে সেই গাছ থেকে ফল খাওয়ার জন্য ।তখন তাদের ইবলিশের কথায় কান দেয়া উচিত হয়নি। এবং তাই এতে তাদের ও দোষ ছিল।

এবং তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করে বললেন
।رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

*“রাব্বানা যালামনা আনফুসানা অইল্লাম তাগফির লানা অতারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খা-সিরীন।”*
অর্থঃ *হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে আপনি ক্ষমা না করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।

এবং এখানেই আদম আলাইহিস সালাম ও ইবলিশ এর মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। যখন ইবলিশ আল্লাহর সরাসরি আদেশ অমান্য করেছিল সে আল্লাহকে দোষারূপ করে ছিলো নাউযুবিল্লাহ্।সে বলেছিল নিশ্চয়ই আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, অতএব আমি মানুষকে পথভ্রষ্ট করব।


অন্যদিকে আদম আ: নিজের ভুলের দায় পুরোপুরি নিজের কাঁধে নিয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দিয়ে বলেছেন আল্লাহ যদি তাকে ক্ষমা না করেন তার আর কোন আশা থাকবে না ।তার আর কোনো উপায় থাকবে না ।এবং আল্লাহ আদম আলাইহিস সালাম ও মা হাওয়ার দোয়া কবুল করলেন ।কিন্তু তাদেরকে এই ও আদেশ করলেন যেহেতু তারা সেই গাছের ফল খেয়ে ছিল তাই তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীতে কাটাতে হবে।

মুসলিম শরীফের হাদীসে এসেছে আল্লাহ তাআলা আদম আলাইহিস সালামকে শুক্রবারে সৃষ্টি করেছেন ।তাকে শুক্রবারে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন ।আর শুক্রবারে তাকে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছিল।

আদম আ:আর মা হাওয়া পৃথিবীর দুটি আলাদা স্থানে অবতীর্ণ হলেন।তারা ঠিক কোথায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন সে বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে সব বর্ণনায় যা আসে তা হলো তারা দুজন পৃথক পৃথক জায়গায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন ।জান্নাতের মতো জায়গায় একে অপরের মধুর সঙ্গ পাওয়ার পর দুনিয়ার মতো জায়গায় এসে নিঃসঙ্গ দিন কাটানো অনেক বড় একটা পরীক্ষা ছিল।


একবার ভেবে দেখুন আপনার জীবনসঙ্গী যাকে আপনি সবসময় কাছে পাচ্ছেন। ঘরে ফিরলেই যার দেখা হয় ।যাকে ঘিরেই আপনার সব পরিকল্পনা তাকে যদি হঠাৎ করে আপনি হারিয়ে ফেলেন এবং কতদিনের জন্য আপনি হারিয়ে ফেলেছেন আপনি জানেন না এবং যে রবের কাছে দোয়া করছেন, আপনার ভয় হচ্ছে সে রব আপনার ওপর রেগে আছেন এবং আপনি এমন একটি জায়গায় আছেন যা অন্ধকার যা ভয়ানক এবং আপনি জানেন না আপনার জীবনসঙ্গী কেমন জায়গায় আছেন ?

এমন অবস্থায় নিজেকে কতটা অসহায় মনে হবে ।তারা ব্যাকুল হয়ে একে অপরকে খুঁজতে লাগলেন। খুঁজতে খুঁজতে কতদিন পাড় হয়ে গেল তার কোনো নির্দিষ্ট হিসেব নেই। কিন্তু অবশেষে তারা একে অপরকে খুঁজে পেলেন। এবং মা হওয়া এবং আদম আলাইহিস সালাম তাদের দুনিয়ার জীবনের সংসার শুরু করলেন ।

বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে প্রায় আদম আলাইহিস সালাম দুনিয়াতে প্রায় এক হাজার বছর বেঁচে ছিলেন। এবং এই সময়ে মা হাওয়া অনেকবার মা হয়েছিলেন। এবং প্রতিবার তার কুলে আল্লাহর হুকুমে যমজ সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল ।এবং সেই সময় এর বিধান ছিল এক কোলের সন্তানকে আরেক কোলের সন্তানের সাথে বিয়ে করতে হবে ।অর্থাৎ যেহেতু প্রতিটি মানুষই সরাসরি একে অপরের ভাই বোন ছিল তখন ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে করার নিষেধাজ্ঞা জমজ ভাই বোনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

আদম আ:এর প্রথম পুত্র সন্তানের নাম ছিল কাবিল।এবং এর পরের পুত্র সন্তানের নাম ছিল হাবিল। কাবিল ছিল কৃষক।আর হাবিল পশুপাখি পালতো।কাবিল ছিল কিছুটা রাগি প্রকৃতির। এবং সে হাবিলের বোনকে বিয়ে করার ব্যাপারে অসম্মতি জানালো। তার দৃষ্টিতে তার নিজের বোন ছিল আরো বেশি রূপবতী ।এই অবস্থায় আদম আলাইহিস সালামের মাধ্যমে ওয়াহী আসলো তারা দুই ভাই যেন আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করে। এবং যার কুরবানি কবুল হবে তার পছন্দই চূড়ান্ত হবে।

হাবিল তার খামার থেকে সবচেয়ে সুন্দর পশু টি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করলো ।অন্যদিকে কাবিল তার সবচেয়ে খারাপ ফসলটি কোরবানির নিয়তে ওঠিয়ে রাখল ।এবং আল্লাহর হাবিলের কোরবানি কবুল করলেন। এবং কাবিলের কোরবানি কবুল হলো না। এবং হাবিল আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী কাবিলের বোনকে বিয়ে করার জন্য সম্মতি জানালো।কিন্তু এতে কাবিলের অন্তর হিংসায়-বিদ্বেষে ভরে গেল। এবং সে একপর্যায় কাবিল বলল সে হাবিলকে হত্যা করে ফেলবে।

হাবিল তার ভাইকে বলল তুমি আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য হাত বাড়াবো না ।কারণ আমি আল্লাহকে ভয় করি। এবং তার কথা শুনে কাবিল আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলো ।এবং হাবিলকে হত্যা করার জন্য তার গলা চেপে ধরলো কিন্তু তাকে হত্যা করতে পারল না ।তখন ইবলীস তাদের কাছে আসলো। এবং হাবিলকে হত্যা করার পদ্ধতি শেখানোর জন্য একটি পশুর মাথায় পাথর দিয়ে পশুটিকে হত্যা করল এবং কাবিল একইভাবে একটি পাথর নিয়ে হাবিলের মাথায় আঘাত করল এবং এভাবে হাবিল হয়ে গেল মানব ইতিহাসের প্রথম শহীদ ।আর কাবিল হয়ে গেল মানব ইতিহাসের প্রথম হত্যাকারী ।

যতক্ষণ পর্যন্ত আদম আলাইহিস সালাম এর কাছে খবর এলো ততক্ষনে কাবিল তার পরিনাম এর কথা চিন্তা করে পালিয়ে গেছে ।সে ভাবল তার আর কোন আশা নেই ।আদম আলাইহিস সালাম ও মা হাওয়া তাদের দুই সন্তান কে এইভাবে হারিয়ে বুকে গভীর শোক ধারণ করে তাদের বাকি সন্তানদের সদুপদেশ দিতে থাকলেন ।এবং আল্লাহর এবাদত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করতে থাকলেন ।ধীরে ধীরে বহু বছর পাড় হয়ে গেল ।এবং তাদের অনেক সন্তান জন্ম হলো। কেউ কেউ বলেন মা হাওয়ার 20 জোড়া যমজ সন্তান হয়েছিল ।আবার কেউ কেউ বলেন সে সংখ্যা একশোর বেশি।এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার কোন উপায় নেই। তবে তাদের সব সন্তান সন্ততিদের মধ্যে একজন সন্তান ছিলেন শীচ।যে তার বাবার মত সমাজের মানুষকে ভালো কাজ করার উপদেশ দিতেন এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতেন ।

আদম আলাইহিস সালাম যখন অনেক বৃদ্ধ তখন একদিন তিনি ফল খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ।বাস্তবে তার জান্নাতের ফল এর কথা খুব মনে পড়ছিল। এবং তিনি সেই ফলি খেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু তার সন্তানেরা যখন শুনলো তাদের বাবা ফল খেতে চাচ্ছেন তারা দ্রুত বেরিয়ে পড়ল সেই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ ফল নিয়ে আসার জন্য। তারা যখন ফলের সন্ধানে জঙ্গলে গেল তখন সেখানে তাদের কিছু ফেরেশতাদের সাথে দেখা হয়।সে ফেরেশতারা বলল তোমাদের বাবা যে ফল চেয়েছেন তা এখানে নেই। তোমরা বরং তার কাছে ফিরে যাও।এবং আমরা ও তার সাথে সাক্ষাত করব।

আদম আলাইহিস সালামের সন্তানেরা যখন সে ফেরেশতাদের নিয়ে বাড়ি ফিরলো তখন মা হাওয়া সেই ফেরেশতাদের একজন কে চিনতে পারল। কারণ সেই ফেরেশতা এর আগেও একবার দেখা দিয়েছিল। যখন তার ছেলে হাবিলকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বুঝতে পারলেন মালাকুল মাউত তার স্বামীর আত্তা কে নিতে এসেছে ।
জান্নাতে বহু বছর সুখে-শান্তিতে কাটানোর পর যখন তাদেরকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল তখন যে সময়টা মা হাওয়া আদম আলাইহিস সালামকে ছাড়া একাকী কাটিয়েছিলেন সেই কষ্টকর সময়ের কথা তার মনে পড়ে গেল ।এবং তিনি মালাকুল মউতকে বাঁধা দিলেন। কিন্তু আদম আলাইহিস সালাম মা হাওয়াকে বুঝিয়ে বললেন তাকে তার রবের কাছে ফিরে যেতে হবে ।অবশেষে মা হাওয়া সরে দাঁড়ালেন। এবং মালাকুল মউত আদম আলাইহিস সালামের আত্মা নিয়ে নিলেন।

তাঁরা আদম আলাইহিস সালামের মরদেহ কে গোসল করালেন ।দাফন করলেন।এবং মাটিতে কবর দিলেন ।এবং সেই প্রথা আমরা আজ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি ।আদম আলাইহিস সালাম এর মৃত্যুর সময় মানবসমাজ অনেক টাই বড় হয়ে গিয়েছিল ।এবং সেখানে ভালো কাজের পাশাপাশি নানা ধরনের পাপ কাজ বাড়তে লাগল। এবং এই অবস্থায় আল্লাহর বাণী প্রচার করার কাজে নামলেন আদম আলাইহিস সালাম এর সন্তান শীচ আ:।
আগামী পর্বে শীচ আ: কে আলোচনা হবে ইনশা আল্লাহ্।

Baseera ইউনিউব চ্যানেল থেকে সংগৃহিত




কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.