জীবন - মৃত্যু -জীবন-১০ শেষ পর্ব

শেষ পর্বঃজান্নাত


সিরাত পাড়ি দিতে হবে প্রতিটা মানুষকে।যারা ভালো কাজ করেছে তারা সিরাত পাড়ি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
জান্নাত এমন একটা উপহার,যেখানে আল্লাহ তালাহ তার বান্দাদের জন্য এত নিয়ামত রেখেছেন যে, কোন মানুষ তা কল্পনাও করতে পারবে না।আমাদের একটাই ইচ্ছে আমরা জান্নাতের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবো।জান্নাত এত সুন্দর যে আমাদের কল্পনাও হার মানায়,তবুও কিছু বলার চেষ্টা করা যাক।

৮ টি জান্নাত রয়েছে,তার মধ্যে সব চেয়ে উত্তম হলো জান্নাতুল ফেরদাউস।জান্নাতের দরজা সর্বপ্রথম মুহাম্মাদ (সাঃ) খুলে দিবেন,আর তার পিছন পিছন সমস্ত মুমিন মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
জান্নাতে মানুষদের চেহারা আলোকময় হবে,তারা হযরত ইউসুফ(আঃ) এর মত সুন্দর হবেন,তাদের বয়স হবে ৩০-৩০ এর মাঝামাঝি আর লম্বায় ৬০ হাত।জান্নাতি নারিদের নিয়ে বলা আছে
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,জান্নাতী রমনীরা যদি ক্ষণিকের জন্য দুনিয়াতে দৃষ্টিপাত করে, তাহলে পূর্ব পশ্চিমে যা কিছু আছে তা আলোকময় করে তুলবে এবং পূর্ব পশ্চিমে যত খালি জায়গা আছে,তা সুগন্ধিময় করে তুলবে।(বুখারী)

জান্নাতে প্রবেশের পর জান্নাতিদেরকে মাছের কলিজা দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।এর পর গরুর গোশত দেওয়া হবে।আর পানীয় হিসেবে দেওয়া হবে,"সাল সাবীল" নামক ঝর্নার আদার স্বাদমিশ্রিত পানীয়।সর্বপ্রকার সুস্বাদু ফল যেমন আঙুর,আনার,খেজুর,কলা যা কুরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ হয়েছে। এছাড়া আরো থাকবে,দুধ,মধু,কাউসারের পানি আদা বা কাফুর স্বাদমিশ্রিত পানি।জান্নাতীদের সম্মানার্থে সোনা,রূপা বা কাঁচের পাত্রে খাবার সরবরাহ করা হবে।
আল্লাহপাক বলেন,
"জান্নাতের নিয়ামতের ধারাবাহিতা কখনও ছিন্ন হবে না,আর না হবে নিষিদ্ধ।"(সুরা ওয়াকিয়াহ-৩৩)

জান্নাতীদেরকে এখনকার চেয়ে বহু মুল্যবান রেশমের পোশাক দেওয়া হবে।যার ব্যবহার থেকে পৃথিবীতে নিষেধ করা হয়েছিল।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
"যদি একজন জান্নাতী পুরুষ তার অলংকার সহ পৃথিবীতে একবার উকিঁ দেয়,তাহলে তার অলংকারের চমক সূর্যের আলোকে এমনভাবে ঢেকে দিবে যেমন সূর্য তারকার আলোকে ঢেকে দেয়।"(তিরমিযী)
মহিলাদের সাধারন পোশাকও এত মূল্যবান হবে এমনকি ওড়নাও পৃথিবীতে যা কিছু আছে,তার চেয়ে মুল্যবান হবে।(বুখারী)।

জান্নাতে থাকবে,নদি ও ঝরনা,
আল্লাহ বলেন,আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদেরকে শুভ সংবাদ দিন যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।”

জান্নাতে কেও একা একা থাকবে না,সবাই নিজ নিজ সাথির সাথে থাকবে,আর যদি কারোর না থাকে তবে জান্নাতি নারিদের সাথে আল্লাহ বিয়ে দিয়ে দিবেন।
সেইখানে সবাই দেখা করার জন্য জায়গা আছে,সেইখানে সবাই যায় দেখা করতে,গল্প করতে।
এমনকি নবি রাসুলগনদের সাথেও বসে গল্প করা যাবে।

এক হাদীসে আছে, একজন সাধারণ বেহেশ্তী যে স্হান লাভ করবে , তা সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার দশগুন স্হানের সমান হবে । -মুসলিম, মেশকাত ।
জান্নাতে মুমিন মানুষদের জন্য রয়েছে পবিত্র হুর।
জান্নাতে সব চেয়ে বড় যে বিষয় তা হলো আল্লাহর দিদার।এটা শুধু জান্নাতেই সম্ভব।যে আল্লাহ আমাদের তার ইবাদত করার জন্য বানিয়েছেন,যিনি সমস্ত কিছুর মালিক,সেই মহান আল্লাহ তালাহ কে আমরা জান্নাতে দেখতে পাবো।
আসলে জান্নাত এর বিষয় এ এই কিছু কথা বলে শেষ করা যাবে না।
তা জানতে হলে আমাদের গভিরভাবে জানতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাতে যাওয়ার তৈফিক দেন।
আমিন




কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.