[ জান্নাতে যাওয়ার ও🔥জাহান্নাম থেকে বাঁচার সহজ ১০০টি বেশি নেক আমল ও সুন্নাত আমল সমূহ ফজিলত ]

[ জান্নাতে যাওয়ার ও🔥জাহান্নাম থেকে বাঁচার সহজ ১০০টি বেশি নেক আমল ও সুন্নাত আমল সমূহ ফজিলত ]

আমল-১--------------

"যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে ময়লা আবর্জনা কিংবা কষ্ট হয় এমন বস্তু দূরিভূত করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন,
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২য়/৩২৯পৃষ্টা) .সর্বনিম্ন জান্নাতীদের বাড়ি থাকবে ৭ তলা ৷ অনেকে জুমারদিন বা ৫ ওয়াক্ত মসজিদে যাই যখনই মসজিদে যাবেন তখন ময়লা পরিষ্কার করা চেষ্টা করবেন /

আমল-২-------------

রাসুলুল্লাহ (সা:)বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করবেন, জান্নাতে ১টি প্রাসাদের উচ্চতা হবে ৩০মাইল, ২০বার পড়লে২টি৩০বার ৩টি প্রাসাদ তৈরি হবে এবং ১০ বার কুরআন খতমের সওয়াব প্রতিদিন আমলনামায় যুক্ত হবে (দারিমি-৩৪৯২.সিলসিলাহ সহিহাহ-৫৮৯) জান্নাতে বেশি বেশি প্রাসাদ নির্মাণ করতে চাইলে এ সূরাটি পাঠ করবেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে, চলতে-ফিরতে, গাড়িতে বসে, মোটকথা যখনই সময় পাব, তখনই বেশি বেশি পাঠ করব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জান্নাতের মধ্যে বেশি বেশি প্রাসাদ নির্মাণের তৌফিক দান করুন।

আমল-৩.. ………. 

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যাক্তি (জামাতে নামাজের) খালি জায়গা ভরাট করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং জান্নাতে তার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করে দিবেন।“ [৫]সহীহ আত তারগ্বীব, ১ম খন্ড,৩৩৬ পৃ। আলবানি এ হাদিসকে ‘সহীহ লি গায়রিহী’ বলেছেন] সর্বনিম্ন জান্নাতীদের বাড়ি থাকবে ৭ তলা ৷

আমল: ৫……….. 

১ ঝগড়া-বিবাদ থেকে রিবত ২ মিথ্যা বলা পরিহার ৩ উত্তম চরিত্র গঠন করা ফজিলত:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
1"আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয়না,2" জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলেনা 3"এবং জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে।" [৬]আবু দাউদ আস-সুনান ৪/২৫৩; হাদীস নং ৪৮০০।
( জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ফাঁকা একটি বিশাল বাড়ি থাকবে। আকাশের দিকে যার উচ্চতা হবে
৬০ মাইল (১১১ কিলোমিটার) ।

আমল-৬………..

অন্যদের কাছে প্রচার করুন : কপি করে বা শেয়ার করে সবার কাছে প্রচার করুন ও নেক আমলে দাওয়াত অন্য কাছে পৌছিয়ে দিন এতে যতজন পড়বে বা আমল করবে তাদের সমপরিমান সাওয়াব আপনি পাবেন.copy..share
রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]

আমল : ৭……..

চোখকে পাপ থেকে হিফাযত করা-
1.রাসুল (সাঃ) বলেন কিয়ামতের দিন জাহান্নাম দেখবে না। ১- এমন চক্ষু যে আল্লাহ্‌র ভয়ে কাঁদে, ২-এমন চক্ষু যে আল্লাহ্‌র রাস্তায় জেগে থাকে, ৩- এমন চক্ষু যে বেগানা মহিলাকে দেখে নিচু হয়ে যায় (শাইখ আলবানি (রঃ) প্রনিত সিলসিলাহ সহীহাহ- হাদিস ১৪৭৭) 2.রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন “যে ব্যাক্তি আল্লাহর পথে ১ দিন রোযা রাখবে, আল্লাহ্‌ ঐ ১ দিন রোযার বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নাম হতে ৭০ বছর (পরিমাণ পথ) দূরে রাখবেন।” (বুখারী- ২৮৪০, তাওহীদ পাবলিকেশন)

আমল : ৮………...

প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি আল্লাহ তা’লার কাছে জিহাদকারির সমতুল্য হবেন। সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ৬০০৭।

আমল : ৯………..

যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করার সময় এই দু’আটি পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা তার আমলনামায় দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করবেন, তার ১০দশ লক্ষ পাপ মোচন করবেন, তার ১০দশ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করবেন। সর্বনিম্ন জান্নাতীদের বাড়ি থাকবে ৭তলা দু’আটি হল এইঃ
বাজারে প্রবেশের দোয়াঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ كُلُّهُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ-দাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হা-মদু ইয়ুহ-ই ওয়া ইয়ু মিতু ওয়া হুয়া হা-ইয়্যুল্লা ইয়ামুতু বিয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লী শাইয়ীন ক্বাদীর।
( তিরমিজী-৩৪২৯, ইবনে মাজাহ-২২৩৫, মুসনাদে আহমদ-৩২৯, হাকেম-১৯৭৬ )

আমল : ১০………….

বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪৯৯, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৩১৬।
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো : সূত্রে বর্ণিত, একবার রাস্তার ওপর একটি গাছের ডাল পড়ে ছিল, যা মানুষের জন্য কষ্টদায়ক ছিল, অতঃপর এক লোক সেটি সরিয়ে দেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করেছেন। ’ (ইবনে মাজাহ)

আমল : ১১………...

জামাতে ইমামের প্রথম তাকবীরের সাথে ৪০ দিন সলাত আদায় করুন এতে আপনি নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তিরমিজি, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৭৪৭, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৪০৪)।

আমল : ১২………..

.প্রতিদিন ঘুমানো পূর্বে ১এক হাজার বার দরুদ শরিফ পড়ে ঘুমালে,জান্নাতের খাতা তার নাম না লিখা পর্যন্ত,মৃত্যু বরণ করবে না
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একদিনে হাজার বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, বেহেশতে তার স্থান না দেখা পর্যন্ত সে মৃত্যু বরণ করবে না।
(সা’দাতুদ দারাইন, আল-মাকতাবাতুত তাওফিকিয়্যাহ, তুরস্ক, পৃ-১১৫)

আমল-১৩……………………………

যে ব্যক্তি কোনো এতিমকে আপন মাতা-পিতার সঙ্গে নিজেদের (পারিবারিক) খাবারের আয়োজনে বসায় এবং (তাকে এই পরিমাণ আহার্য দান করে যে) সে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮২৫২)

আমল : ১৪

সবাই মসজিদে মাদ্রাসা এতিমখানা গরিব লোকদের কে দান করবেন ৷ দান করা ফজিলত..
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা:বলেছেন,‘যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সদকা করে - আর আল্লাহ হালাল ব্যতীত অন্যকিছু গ্রহণ করেন না - আল্লাহ তাআলা তা তাঁর ডান হাতে গ্রহণ করেন এরপর তিনি তা লালন করেন, যেমন তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন করে, এমনকি একসময় সে সদকা পাহাড়তুল্য হয়ে যায়।’(বুখারী ও মুসলিম)

আমল : ১৫…………..

1. যে ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে ১০০ বার বলবে ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলবে, সৃষ্টিকুলের কেউ তার সমপরিমাণ মর্যাদা ও সাওয়াব অর্জন করতে পারবে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯১)
2,জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)
3,সকাল ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২
4.সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি) অধিক পাঠ করে, কারণ তা আল্লাহর রাস্তায় পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ ব্যয় করার চেয়ে অধিক প্রিয়”।
(তাবরানি ফিল কাবির: (৭৭৯৫), আল-বানি ‘সহিহ তারগিব ওয়া তারহিব’: (১৫৪১) গ্রন্থে বলেছেন: হাদিসটি হাসান লি গায়রিহি

আমল : ১৬…………….

হুজুর (সাঃ) ফরমান, যে ব্যক্তি লাইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়বে তাহার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। 'সুবহানাল্লিহি ওয়াবিহাদিহী' ১০০ বার পাঠ করবে সে ১ লক্ষ ২৪ হাজার নেকী লাভ করবে। এটা রমজান মাস সেহেতু সকল ইবাদত এর সওয়াব হবে ৭০ গুন, সুতরাং এই সওয়াব হবে ৭০ লক্ষ ১৬৮০ হাজার নেকী। [মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ, ইবনে মাজা, মুস্তাদরাক হাকীম ৪/২৭৯, তারগীব]

আমল : ১৭……..

রাসূল সা: বলেছেন:
«من يضمن لي ما بين لحييه وما بين رجليه أضمن له الجنة».
“যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’ পায়ের মধ্যখানের (লজ্জাস্থান) হিফাযতের
গ্যারান্টি দিবে, আমি তার জান্নাতের ব্যাপারে
গ্যারান্টি দেব”। সহীহ বুখারী।
2.দানের মাধ্যমে কবরে নিরাপত্তা লাভ-
"ওকবা ইবনু আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই দান কবরের শাস্তিকে মিটিয়ে দেয় এবং কিয়ামতের দিন মুমিন তার দানের ছায়াতলে ছায়া গ্রহণ করবে"। (সিলসিলাহ সহীহাহ হাদিস- ১৮১৬, ৩৪৮৪)

আমল : ১৮

প্রত্যেক ফরয নামাজের পর একবার #আয়াতুল_কুরসি পড়া। নিয়মিত আমল করলে আমলকারী ও জান্নাতের মধ্যে পার্থক্য থাকে শুধুমাত্র মৃত্যু। অর্থাৎ মৃত্যু হলেই # জান্নাতি [নাসাঈ-৯৯২৮]

আমল : ১৯

প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।

আমল : ২০

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮। সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩)
2.রাসুলুল্লাহ(সাঃ) ফরয সালাত শেষকরে যেই দুয়াগুলো পড়তেনঃ
১. “আসতাগফিরুল্লা-হ” - ৩ বার ।
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
অর্থঃ হে আল্লাহ!আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

আমল : ২২……….

ঘুমানো আগে জিকির করে করে ঘুমালে সারা রাত জিকির করা সাওয়াব লেখা হয় ৷ -রাসূল সা: বলেছেন,
চারটি বাক্য ১০০ বার করে পাঠ করার ফজিলত :
তিনি বলেনঃ
" ১০০ বার "সুব'হা-নাল্লাহ" বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
''১০০ বার "আল হামদু লিল্লাহ" বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
"১০০ বার "আল্লাহু আকবার" বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
"১০০ বার "লা-ইলাহা ইল্লাহ" বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে (এবং তোমার কোন পাপই বাকি থাকবেনা)

রেফারেন্সঃ মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৪৪, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৫২,নং ৩৮১০, নাসাঈ, কুবরা ৬/২১১, মুসতাদারাক হাকিম ১/৬৯৫, মাজমাউয যাওয়াইদ

আমল : ২৩ ……….

পানি পান করানোর ফজিলত :
সাঈদ (রা হতে বর্ণিত।
তিনি বলেনঃ একদা সা‘দ ইবন উবাদা (রা
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
খিদমতে হাজির হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কি ধরনের
সদকা আপনার নিকট প্রিয় ?
তিনি বলেনঃ পানি পান করানো।(সুনান আবু দাউদ হাদীস নং-১৬৭৯)
(৪)“যে ব্যক্তি কোথাও একটি কূপ খনন করে দেয় (অর্থাৎ পানির উৎসের ব্যবস্থা করে দেয়) এবং তারপর সেখান থেকে কোনো মানুষ, পশু-পাখি অথবা কোনো প্রাণীও যদি পানি পান করে, তবে প্রত্যেকটির বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্বিয়ামতের দিন নেকী দান করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
.

আমল : ২৫………….

অযু অবস্থায় শোয়ার ফজিলত “অযু অবস্থায় শোয়া ব্যক্তি একজন রোযাদার ইবাদাতকারীর মত।” (কানুযুল উম্মাল, ৯ম খন্ড, ১২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৫৯৯৪)
ওযু অবস্থায় ঘুমানো ব্যক্তি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় (ওজূ অবস্থায়) ঘুমায় তার সাথে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে। অতঃপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথেই আল্লাহতালার সমীপে ফেরেশতাটি প্রার্থনায় বলে থাকে, হে আল্লাহ! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল।"
(আল ইহসান ফি তাকরির সহীহ ইবনে হিব্বান ৩/৩২৮-৩২৯)

আমল : ২৬

অযু অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী শহীদ
===================
সুলতানে মদীনা, হুযুর صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত আনাস رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ কে ইরশাদ করেন: “বৎস! সম্ভব হলে সবসময় অযু অবস্থায় থাকো। কেননা, ‘মালাকুল মওত’ অযু অবস্থায় যাঁর রূহ কবজ করেন তাঁর শাহাদাতের মর্যাদা নসীব হবে।” (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-২৭৮৩)

আমল : ২৭

নেক নজরে অর্থাৎ স্নেহমমতার দৃষ্টিতে পিতা-মাতার দিকে তাকালেই কবুল হজ্বের সওয়াব পাওয়া যায়। [ ইবনে মাজাহ] প্রতিদিন ১০০শত বার তাকালেই ১০০হজ্ব সাওয়াব
মকবুল হজ্বের সাওয়াব
যে ব্যক্তি সাওয়াবের নিয়্যতে পিতা-মাতা বা তাদের যে কোন একজনের কবর যিয়ারত করবে, সে ব্যক্তি একটি মকবুল হজ্বের সাওয়াব লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি আপন পিতা-মাতার কবর বেশি বেশি যিয়ারত করে থাকে, সেই ব্যক্তির (অর্থাৎ যখন সে ইন্তিকাল করবে) তার কবর যিয়ারত করার জন্য স্বয়ং ফেরেশতা নাযিল হবে। (নাওয়াদিরুল উছুল লিল হাকীমিত তিরমিযী, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৯৮)
আমল : ২৮ h
হাশরের ময়দানের কঠিন অবস্থার মধ্যেও সাত শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আরশের ছায়াপ্রাপ্ত) ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদতের মধ্যে, ৩. সে ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে, ৪. সে দু’ ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালবাসে আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহ্‌র জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহ্‌র জন্য, ৫. সে ব্যক্তি যাকে কোনো উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহবান জানায়, কিন্তু সে এ বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’, ৬. সে ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানে না, ৭. সে ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিক্‌র করে, ফলে তার দু’ চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে থাকে। (বুখারি- ৬৬০)
আমল : ২৯
‘‘রাসূল সা: বলেছেন ৫ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদার করলে ৫০ ওয়াক্ত সালাতের সাওয়াব পাওয়া যায় (সহিহ বুখায়,মুসলিম ও তিরমিযী:২১৩)
আমল : ৩০
হজরত আবু উমামা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হেঁটে নামাজ পড়তে যাবে, সে হজের সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি নফল নামাজের জন্য হেঁটে যাবে, সে নফল ওমরাহর সওয়াব পাবে।’
(আল মু’জামুল কাবির : ৭৫৭)
আমল : ৩১
জামা’আতে সলাত পড়া :-
‘‘ জামা’আতে সলাত পড়া একাকী সলাত পড়ার চাইতে ২৭ গুন বেশী মর্যাদার।’’ [বুখারী, মুসলিম]
আমল : ৩২
জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত : হজরত উসমান বিন আফ্ফান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করে, সে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সাওয়াব পা আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর নামাজ জামাতে আদায় করবে, সে পুরো রাত ইবাদতের সওয়াব পাবে।’
(আবু দাউদ : ৫৫৫)
আমল : ৩৩
গোপনে নফল পড়ার ফজিলত : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জনসম্মুখের তুলনায়
লুকিয়ে নফল নামাজ পড়ার মধ্যে ২৫ গুণ ……….বেশি সাওয়াব ৷
সলাত বাসায় পড়া ‘‘ফরজ সলাত ছাড়া মানুষের সলাতের মধ্যে সেই সলাত উৎকৃষ্ট, যা সে ঘরে পড়ে।’’ [বুখারী ,মুসলিম]
আমল : ৩৪
জুমার নামাজ : হজরত আউস ইবনে আউস আস্সাকাফি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করবে, অতঃপর কোনো রকম যানবাহনে না চড়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যাবে, ইমামের নিকটবর্তী বসবে, চুপ থাকবে এবং অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকবে, তবে তার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রতি কদমে ১এক বছরের রোজা ও কিয়ামুল লাইলের সওয়াব লেখা হবে।
(আবু দাউদ : ৩৪৫)
আমল : ৩৫
দোহার (ইশরাক) সলাত পড়া :-
‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন। [আত-তিরমিজি]
আমল : ৩৬
ইলমের জন্য মাসজিদে যাওয়া :-
‘‘যে দুনিয়াবি কোন কারন ছাড়া দ্বীনি ইলম শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মাসজিদে যায়, সে ঐ ব্যক্তির মত যে তার হজ্জ পূর্ণ করেছে।’’ [আত তাবারানী]
আমল : ৩৭
আযানের উত্তর দেয়ার ফযীলত:
মদীনার তাজেদার صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم একদা ইরশাদ করেন: “হে মহিলাগণ! যখন তোমরা বিলাল رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ কে আযান ও ইক্বামত দিতে শুনবে, তখন সে যেভাবে বলে তোমরাও অনুরূপ বলবে, কেননা আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য প্রত্যেক শব্দের বিনিময়ে ১এক লাখ নেকী লিখে দিবেন, ১এক হাজার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং ১এক হাজার গুনাহ্ মুছে দিবেন।”
মহিলাগণ এটা শুনে আরয করলেন: এটা তো মহিলাদের জন্য, পুরুষদের জন্য কি রয়েছে? ইরশাদ করলেন: “পুরুষদের জন্য এর দ্বিগুণ।” (তারিখে দামেশক লিইবনে আসাকির, ৫৫তম খন্ড, ৭৫ পৃষ্ঠা)
রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আযানের
উত্তর দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।”
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৮৫]
আমল : ৩৮
মসজিদে ফরজ সলাত আদায় করা :-
‘‘যে ব্যক্তি নিজের গৃহ থেকে পবিত্রতা অর্জন করে (অজু ও প্রয়োজনে গোসলও করে) আল্লাহর গৃহের মধ্য থেকে কোন একটি গৃহের দিকে যায়, আল্লাহর ফরজের মধ্য থেকে কোন একটি ফরজ আদায় করার উদ্দেশ্যে, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং অন্য পদক্ষেপটি তার একটি মর্যাদা উন্নত করে।’’ [মুসলিম]
আমল : ৩৯
জামা’আতে প্রথম সারিতে দাড়ানোর চেষ্টা করা :-
‘‘রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম সারির জন্য ৩ বার এবং দ্বিতীয় সারির জন্য ১ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।’’ [আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]
আমল : ৪০
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন,
‘কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা এমন আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা না করিয়ে ছাড়বেনা, সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মুলক (সূরা মুলক)
[তিরমিযী ২৮৯১, সহীহ আবূ দাউদ ১২৬৫]
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূরা মুলক তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন ততক্ষণ পর্যন্ত শাফায়াত করতে থাকবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে হবে। [তিরমিযী]
রাসূলুল্লাহ (সা.) সূরা মুলক পাঠ না করে কখনও ঘুমাতেন না।
[তিরমিযী,২৮৯৭]
আমল : ৪২ নেক নজরে অর্থাৎ স্নেহমমতার দৃষ্টিতে পিতা-মাতার দিকে তাকালেই কবুল হজ্বের সওয়াব পাওয়া যায়। [ ইবনে মাজাহ] প্রতিদিন ১০০শত বার তাকালেই ১০০হজ্ব সাওয়াব
মকবুল হজ্বের সাওয়াব
যে ব্যক্তি সাওয়াবের নিয়্যতে পিতা-মাতা বা তাদের যে কোন একজনের কবর যিয়ারত করবে, সে ব্যক্তি একটি মকবুল হজ্বের সাওয়াব লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি আপন পিতা-মাতার কবর বেশি বেশি যিয়ারত করে থাকে, সেই ব্যক্তির (অর্থাৎ যখন সে ইন্তিকাল করবে) তার কবর যিয়ারত করার জন্য স্বয়ং ফেরেশতা নাযিল হবে। (নাওয়াদিরুল উছুল লিল হাকীমিত তিরমিযী, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৯৮)
আমল : ৪৩
নবী (সঃ) বলেনঃ ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। [ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬]
আমল : ৪৪
রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারি করানো :-
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার (রোজাদার) সমান প্রতিদান পায়, কিন্তু এর ফলে রোজাদারের প্রতিদানের মধ্যে কোন কমতি হবে না।’’ [তিরমিজি, ইবন মাজাহ]
আমল : ৪৫
দরুদ শরিফে পাঠ করা ফজিলত: ছোট দরূদ (.সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’)
1.রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন:“কিয়ামতের দিন আঁমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে,যে দুনিয়ায় আঁমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।”
[তিরমিযী, ২য় খন্ড,২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]
2. রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর সকালে দশ বার ও সন্ধ্যায় দশ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ নসীব হবে।”
[মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১০ম খন্ড, ১৬৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭০২২]
3'জুমার দিন দরূদ শরীফ পাঠের ফযীলত
নবীদের সুলতান, রহমতে আলামিয়ান, সরদারে দো-জাহান, মাহবুবে রহমানصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিন দুইশত বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার ২০০ দুইশত বছরের গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে।” (জমউল জাওয়ামেয় লিস সুয়ূতী, ৭ম খন্ড, ১৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-২২৩৫৩)
4.রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেছেন:যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর জুমার দিন দরূদ শরীফ পড়বে আঁমি কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশ করব।”
[জমউল জাওয়ামি লিস্ সূয়ুতী,৭ম খন্ড, ১৯৯ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ২২৩৫২]i
5.হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ করেন “যে ব্যক্তি আঁমার উপর প্রতিদিন হাজার বার দুরুদে পাক পাঠ করলো, সে যতক্ষণ পর্যন্ত আপন ঠিকানা জান্নাতকে না দেখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবেনা।”
[আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব,২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩২৮ পৃঃ ২২নং হাদীস]
6.রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরামﷺ ইরশাদ করেছেন:“যে (ব্যক্তি) কিতাবে আঁমার উপর দরূদ পাক লিখেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আঁমার নাম তাতে থাকবে,ফিরিশতারা তার জন্য ইস্তিগফার (অর্থাৎ- ক্ষমা প্রার্থনা) করতে থাকবে।”
[মুজাম আওসাত,১ম খন্ড, ৪৯৭ পৃষ্ঠা, হাদিস-১৮৩৫]
7.রাহমাতুল্লীল আলামীন নবিজী ﷺ ইরশাদ করেন: “হে লোকেরা! নিশ্চয় কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি,যে তোমাদের মধ্যে আঁমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকে।”
[আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ৫ম খন্ড,২৭৭ পৃষ্ঠা,হাদিস-৮১৭৫
8.রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন: “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে,আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত বর্ষণ করেন, দশটি গুনাহ ক্ষমা করেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।”
[নাসায়ী, ২২২ পৃষ্ঠা,হাদিস-১২৯৪]
আমল : ৪৬
হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ থেকে বর্ণিত; তাজেদারে মদীনা, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি (ঈমানের দাবীর ভিত্তিতে ও সাওয়াব অর্জনের নিয়্যতে) আপন ঘর থেকে বের হয়ে জানাযার সাথে চলে, জানাযার নামায আদায় করে এবং দাফন পর্যন্ত জানাযার সঙ্গে থাকে তার জন্য দুই ক্বীরাত সাওয়াব রয়েছে।যার প্রত্যেক ক্বীরাত ওহুদ পাহাড় সমপরিমাণ। আর যে ব্যক্তি শুধু মাত্র জানাযার নামায আদায় করে ফিরে আসে তাহলে সে এক ক্বীরাত সাওয়াব পাবে।” (মুসলিম, ৪৭২ পৃষ্ঠা, হাদীস-৯৪৫)
আমল : ৪৭
#সাইয়্যিদুল_ইসতিগফার
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ
দো‘আ :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের
সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে
মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা
গেলে, সে জান্নাতী হবে’।
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻰْ ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻰْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ،
ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻰْ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟِﻰْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَﻳَﻐْﻔِﺮُ
ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ -
#উচ্চারণ : ‘‘আল্ল-হুম্মা আনতা রব্বী, লা-ইলা-হা
ইল্লা- আন্তা খলাকতানী, ওয়া আনা- ‘আবদুকা,
ওয়া আনা- ‘আলা- ‘আহদিকা, ওয়া ওয়া‘দিকা
মাস্তাত্ব‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা- সনা‘তু,
আবূউলাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ
বিযাম্বী ফাগফিরলী, ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগফিরুয্
যুনূবা ইল্লা- আনতা’’
#অর্থাৎ - হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু, তুমি ছাড়া
কোন মা‘বূদ নেই; তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি
তোমার বান্দা, আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার
চুক্তি ও অঙ্গীকারের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি
আমার কৃতকর্মের মন্দ পরিণাম হতে তোমার নিকট
আশ্রয় চাচ্ছি। আমি স্বীকার করি, আমার প্রতি
তোমার দানকে এবং স্বীকার করি আমার গুনাহকে।
অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো। কেননা তুমি ছাড়া
গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই।)।
(((বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’
অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪।))
আমল : ৪৮
আপনি যদি মসজিদ নির্মাণ করেন অথবা মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা করেন, তাহলে আল্লাহ আপনার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন:
«من بنى مسجدا لله بنى الله له في الجنة مثله».
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ তৈরি করলো, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করবেন”। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।
আমল : ৪৯
যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করবে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে অনেক বিপদের মধ্য থেকে একটি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। (বুখারী)
আমল-৫০
‘যে ব্যক্তি দিবারাত্রিতে ১২ রাক‘আত সালাত আদায় করে, তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। যোহরের পূর্বে চার, পরে দুই, মাগরিবের পরে দুই, এশার পরে দুই ও ফজরের পূর্বে দুই’।[তিরমিযী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৫৯) জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ফাঁকা একটি বিশাল বাড়ি থাকবে। আকাশের দিকে যার উচ্চতা হবে ৬০ মাইল (১১১কিলোমিটার)
.
আমল-৫১
১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]
আমল : ৫২
ছোট্ট একটি দোয়াঃ-
“জাযাআল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা-হুয়া আহলুও।”
নবী করীম (সাঃ) ফরমান, যে ব্যক্তি ১ বার এই দোয়া পাঠ করবে, ৭০ জন ফেরেশতা ১০০ দিন পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে উহার সাওয়াব লিখতে থাকবে।
রহমতে আলম,হুজুরপূর নূর ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি এটা বলে: جَزَ اللهُ عَنّا مُحَمَّدًا مَّا هُوَ اَهْلُه ৭০ জন ফিরিশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত তার জন্য নেকী লিখতে থাকে।”
[মুজাম আওসাত,১ম খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা,হাদিস- ২৩৫]
আমল : ৫৩
‘‘আলাহ কি তোমাদের জন্য ইশার সলাত জামা’আতে পড়া হজ্জের সমান এবং ফজরের সলাত জামা’আতে পড়া ওমরাহর সমান করেন নি’’ এবং ‘‘যে ফরজ সলাত জামা’আতে পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তা হজ্জের সমান এবং যে নফল সলাত পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তার সওয়াব নফল ওমরাহর সমান।’’ (সহীহ আল জামি: ৬৪৩২)
আমল : ৫৪
‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আলাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।] [আত-তিরমিজি ‘‘সাহাবীরা বললেন, ‘‘ ইয়া রসূলুলাহ! ধনীরা তো আখিরাতে বেশী পুরস্কার পাবে, তারা হজ্জ আদায় করে, আমরা পারিনা, তারা জিহাদ করে এবং আমরা পারিনা। মুহাম্মাদ (সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম) বললেন, ‘‘আমি কি তোমাদের এ রকম কিছুর কথা বলব না, যদি তোমরা এটি শক্ত করে ধরে রাখ, তাহলে তোমরা তাদেও মত সওয়াব অর্জন করতে পারবে। তাহল প্রত্যেক সলাতের পর আলাহু আকবার ৩৪ বার, সুবহান আলাহ ৩৩ বার এবং আলহামদুলিলাহ ৩৩ বার বলা।’’
আমল : ৫৫
‘‘যখন কেউ তার ভাইয়ের জন্য দো’আ করে, তখন ফিরিশতারা বলেন,‘ আমিন, তোমার জন্যও তা।’’ [সাহীহ আল জামি: ২১৪৩]
আমল : ৫৬
অন্য হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, 'হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।' (বুখারি : ৬৪০৬)
আমল : ৫৭
সদকায়ে জারিয়াহ :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; কিন্তু তিনটি জিনিস বন্ধ হয় না- সদকায়ে জারিয়াহ, ওই ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়; সুসন্তান, যে তার মৃত বাবার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি : ১৩৭৬)
আমল : ৫৮
সুরা ইখলাছের ফজিলত :-
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমরা কি কেউ প্রতি রাতে কোরআন শরিফের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অক্ষম? তাহলে সে প্রতি রাতে সুরা ইখলাছ পড়বে। তাহলে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে।' (মুসনাদে আহমদ : ২৩৫৫৪)
আমল : ৫৯
রাসূল সা: বলেছেন, "যে-ব্যক্তি খাবার শেষে বলল, ‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হাযা ওয়া রযাক্বানীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়া লা- কুওওয়াতিন’ তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"
.
(তিরমিযি, হা. ৩৪৫৮; হাসান )-
আমল : ৬০
মানুষের উপকার করার ফজিলত :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজনে কিছুক্ষণ সময় দেওয়া আমার কাছে এক মাস মসজিদে ইতেকাফ করার চেয়েও বেশি পছন্দনীয়।' (আল মু'জামুল কাবির : ১৩৬৪৬)
আমল : ৬১
আমলের নিয়তেও সওয়াব মেলে :-
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যদি কোনো ব্যক্তি রাতে শয়নকালে এই নিয়ত করে যে সে রাতে উঠে নামাজ পড়বে; কিন্তু প্রচণ্ড ঘুমের কারণে সকাল হয়ে যায়, তাহলে সে তার নিয়ত অনুযায়ী নামাজের সওয়াব পাবে। আর ঘুমটা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সদকাস্বরূপ হবে। (নাসায়ি : ১৭৮৭)
আমল : ৬২
রোগী দেখার ফজিলত :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি কোনো মুসলমান ভাইয়ের রোগের খোঁজখবর নেয়, আল্লাহ সত্তর হাজার ফেরেশতাকে তার মাগফিরাতের দোয়ায় নিযুক্ত করে দেন। সে দিনের যে সময়ই তা করবে, ফেরেশতারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে। আর রাতের যে সময়ই করবে, ফেরেশতারা ফজর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে।' (মুসনাদে আহমদ : ৯৫৫)
আমল : ৬৩
সালাতের জন্য মসজিদে অপেক্ষারত ব্যক্তি ফজিলত
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যখন ওযূ অবস্থায় সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকে সে যেন সালাতেই রত। তার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো, হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি দয়া করো।" (সহীহ মুসলিম ৬১৯)
আমল : ৬৪
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে নিজের ঘর হতে ওজু করে ফরজ সলাত আদায়ের জন্য বের হলো তার নেকি একজন এহরামধারি হাজির নেকির সমান। আর যে চাশতের সলাতের জন্য বের হলো তার নেকি একজন ওমরাকারির নেকির সমান এবং এক সলাতের পর অপর সলাত আদায় করা যার মধ্যে কোন অনর্থক কাজ করা হয়নি এমন ব্যক্তির নাম ইল্লীনে লেখা হ?

1 টি মন্তব্য:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.